নাজিমুদ্দিন, খাজা (১৯-৭-১৮৯৪ – ২২-১০-১৯৬৪) ঢাকা। খাজা নিজামুদ্দিন। জমিদার পরিবারে জন্ম। ঢাকায় স্কুলের শিক্ষা শেষ করে আলিগড় এমএ-ও কলেজে। কয়েক বছর পড়ে তিনি ইংল্যান্ডে পড়তে যান। সেখান থেকে এমএ ডিগ্ৰী লাভ করেন ও ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফেরেন। মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর কিছুটা পরিচিতি থাকলেও ত্রিশ দশকে মহম্মদ আলী জিন্নার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পূর্ব পর্যন্ত রাজনীতিতে তাঁর প্রায় কোন যোগই ছিল না; বরং সরকারের নেকনজরেই তিনি ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রী. থেকে তিনি জিন্নার বিশ্বস্ত অনুচর। হয়ে ওঠেন। দ্বৈতশাসন কালে ১৯২৯ খ্রী তিনি শিক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং ১৯৩০ খ্রী. প্ৰাথমিক শিক্ষা বিল পাশ করে খ্যাতি অর্জন করেন। মুসলিম লীগ দলের বাঙলাদেশ শাখার নেতা এবং ১৯৩৭–১৯৪৭ খ্রী. পর্যন্ত সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য ছিলেন। তারই চেষ্টায় বাঙলাদেশে মুসলিম লীগ প্ৰতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছিল। ১৯৩৭ খ্রী. থেকে ফজলুল হকের কোয়ালিশন মন্তিসভায় তিনি চার বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন। পরে তাঁর তীব্র সাম্প্রদায়িকতাবাদের জন্য ফজলুল হকের ‘কৃষক প্রজা পার্টি’র সঙ্গে কোয়ালিশন করে তিনি যে মন্ত্রিসভায় আসেন তা ভেঙ্গে ফেলেন এবং বিরোধী দল ও মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারী দলের নেতা হিসাবে কাজ করেন। ১৯৪৩ খ্রী. মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভা গঠিত হলে তিনি তার মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৪৬ খ্রী. জেনেভায় ‘লীগ অব নেশনস’-এর যে শেষ অধিবেশন হয় তাতে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারত-বিভাগের পর পূর্বপাকিস্তানের প্রথম গভর্নর ও জিন্নার মৃত্যুর পর তিনি সমগ্ৰ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হন (সেপ্টেম্বর ১৯৪৮)। অক্টোবর ১৯৫১ খ্ৰী. তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হন। গোলাম মহম্মদ গভর্নর জেনারেল হলে তিনি পদচ্যুত হন (১৭-৪-১৯৫৩)। শেষ-জীবন নিজের দেশের বাড়িতে কাটান।
পূর্ববর্তী:
« খাজা গুলজার শাহ
« খাজা গুলজার শাহ
পরবর্তী:
খাজা নাসির উদ্দীন »
খাজা নাসির উদ্দীন »
Leave a Reply