নলিনীকিশোর গুহ (১৮৯২ – ২৯-৯-১৯৭৭) বজ্রযোগিনী-ঢাকা। রাধাকিশোর। গ্রামের স্কুলে ছাত্রাবস্থায় পুলিন দাসের কাছে বিপ্লবমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে অনুশীলন পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। দেশসেবার কাজে মায়ের কাছ থেকে প্রেরণা পান। জাতীয় বিদ্যালয় থেকে ১৯০৭ খ্ৰী. পাশ করার পর সমিতির নির্দেশে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা করেন ও এল.এম.এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার প্রধান কাজ ছিল ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে দেশাত্মবোধ সঞ্চার করা। ‘শঙ্খ’, ‘স্বাধীন ভারত’ প্রভৃতি প্রচারপত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করেন।
১৯১০ খ্রী. বিখ্যাত ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে ১৫ মাস বিচারাধীন বন্দী করে রাখা হয়। ১৯১৪ খ্ৰী. অপর একটি মামলায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুক্তিলাভের পর তাকে রেগুলেশন থ্রি-তে আটক করা হয়। ১৯২০ খ্রী মুক্তি পান। এর পর তিনি দলের সাংগঠনিক কাজ ছেড়ে লেখায় আত্মনিয়োগ করেন। ঢাকার ‘সোনার বাংলা’ ও ‘বাংলার বাণী’র সম্পাদকরূপে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। তার লেখা ‘বাংলায় বিপ্লববাদ’ এক সময়ে সাড়া জাগিয়েছিল। দীর্ঘকাল ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সহকারী-সম্পাদক ছিলেন। ‘দৈনিক স্বরাজ’, ‘দৈনিক হিন্দুস্থান’ ও ‘জনসেবক’ পত্রিকার সঙ্গেও তার যোগ ছিল। রচিত অন্যান্য গ্ৰন্থ : ‘তরুণ বাংলা’, ‘পথ ও পাথেয়’, ‘বিপ্লবের পথে’, ‘কাশ্মীর পরিক্রমা’, ‘কত অজানা মানুষ’, ‘ভারতের দাবী’, প্রভৃতি। কলিকাতায় ‘অনুশীলন ভবন’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
Leave a Reply