নরেন্দ্ৰমোহন সেন (আগস্ট ১৮৮৭? — ২৩-১-১৯৬১) আমিনপুর-ঢাকা। শিক্ষাবিভাগের পদস্থ কর্মচারী প্রভাতকুমার। ১৭ বছর বয়সে ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে পড়ার সময় বাল্যকালের গৃহশিক্ষক পুলিন দাসের প্রভাবে গুপ্ত বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯১০ খ্রী. পুলিন দাস গ্রেপ্তার হলে দলের কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। ১৯১৪ খ্রী. গ্রেপ্তার হন ও ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩ আইনে বিভিন্ন জেলে বন্দী থাকেন। ধৃত হবার আগেই সহকর্মী কেদারেশ্বর গুহকে জাপান ও সুদূর প্রাচ্যে প্রেরণ করেন। ১৯২১ খ্রী. মুক্তিলাভ করেই অপর সহকর্মী গোপেন চক্রবর্তীকে রাশিয়ায় পাঠান। এই বছর অসহযোগ আন্দোলনের সময় কংগ্রেসে যোগ দেন ও ঢাকা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দিল্লী কংগ্রেসের (১৯২৩) সময় অনেক বিপ্লবী সরকার কর্তৃক ধৃত হওয়ায় তিনি আত্মগোপন করে দু’বছর সাংগঠনিক কাজে সারা ভারত ও বাঙলাদেশ পরিভ্রমণ করেছিলেন। ১৯২৫ খ্রী. ঢাকা শহরে গ্রেপ্তার হন। আলীপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী থাকার সময় পদস্থ গোয়েন্দা ভূপেন চট্টোপাধ্যায় নিহত (২৮-৫-১৯২৬) হলে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় বিপ্লবীর সঙ্গে তাকেও ব্ৰহ্মদেশের জেলে পাঠান হয়। এখানেই তাঁর চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটে। ১৯২৯ খ্রী. মুক্তিলাভের পর রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেন ও নরেন মহারাজ নামে পরিচিত হন। মিশনের রাচী যক্ষ্মা হাসপাতাল প্ৰতিষ্ঠা ও পরিচালনায় তার উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।
Leave a Reply