নরেন্দ্রমোহন ঘোষ চৌধুরী। লক্ষ্মীপুর—নোয়াখালি। গ্রামের স্কুলের ছাত্র অবস্থায় পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে বরিশাল চলে এসে ব্ৰজমোহন স্কুলে ভর্তি হন। এখানে শিক্ষক সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী কর্মে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
১৯০৮ খ্রী. তার নেতৃত্বে একটি স্বদেশী ডাকাতি অনুষ্ঠিত হয়। ১৯০৯ থেকে ১৯১২ খ্রী. মধ্যে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত স্বদেশী ডাকাতিতে তাঁর বিশিষ্ট ভূমিকা ছিল। ১৯১১ খ্ৰী. গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর জামিনে মুক্ত থাকা-কালে নোয়াখালিতে এক মাইনর স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯১৩ খ্রী. প্ৰধান কর্মকেন্দ্র বরিশাল থেকে কলিকাতায় স্থানান্তরিত হলে সতীন সেন, যোগেন বসু, সুরেশ চ্যাটার্জী প্রভৃতি কয়েকজন বিশিষ্ট সহকর্মীর সঙ্গে তিনি কলিকাতায় চলে যান। ২৬-৮-১৯১৪ খ্রী. রডা কোম্পানীর মশার পিস্তল অপহরণ কাজে তিনিও যুক্ত ছিলেন। ১৯১৫ খ্রী. তার নেতৃত্বে হেদুয়া দীঘির ধারে সকালবেলা পুলিস কর্মচারী সুরেশ মুখার্জী নিহত হন। ৩০-৯-১৯১৫ খ্রী. নদীয়া জেলার শিবপুর গ্রামে ডাকাতি করতে গিয়ে দলের অন্যান্য অনেকের সঙ্গে ধৃত হন। এই মামলায় হরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য ব্যাকরণতীর্থের দশ বছর দ্বীপান্তর বাসের ও অপর আট জনের যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরবাসের সাজা হয়। ১৯২৭ খ্রী. অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দীদের সঙ্গে তাকেও আন্দামান থেকে কলিকাতার জেলে আনা হয়। এখান থেকে মুক্তি পাবার পর তার রাজনৈতিক জীবন স্তিমিত হয়ে যায়। শেষ জীবন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে কেটেছে।
Leave a Reply