নবীনচন্দ্ৰ সেন (১০-২-১৮৪৭ – ২৩-১-১৯০৯) নোয়াপাড়া-চট্টগ্রাম। গোপীমোহন। চট্টগ্রাম স্কুল থেকে প্ৰবেশিকা (১৮৬৩), কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে এফ.এ. (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমব্লীজ ইনস্টিটিউশন থেকে বি.এ. (১৮৬৮) পাশ করেন। কলিকাতায় পড়াশুনা করার সময় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অকুণ্ঠ সাহায্য পান। কয়েক মাস হেয়ার স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পরে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ লাভ করেন (৩-৭-১৮৬৮)। কর্মজীবনে দক্ষতার পরিচয় রাখেন। ১৮৭৫ খ্রী. তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘পলাশীর যুদ্ধ’ প্ৰকাশ হবার পর থেকে ঊর্ধ্বতন ইংরেজ কর্মচারীদের বিরাগভাজন হন। অবশেষে ১-৭-১৯০৪ খ্রী. তিনি অবসর গ্ৰহণ করেন।
দেশপ্রেমিক কবি হিসাবেই তিনি বাঙলাদেশে খ্যাত। ছাত্রাবস্থায় ‘এড়ুকেশন গেজেট’ পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। দেশপ্রেম ও আত্মচিন্তামূলক কবিতা-সঙ্কলন ‘অবকাশরঞ্জিনী’ (১ম ভাগ ১৮৭১) তার প্রথম প্ৰকাশিত গ্ৰন্থ। ‘রৈবতক’ (১৮৮৭), ‘কুরুক্ষেত্ৰ’ (১৮৯৩), ‘প্ৰভাস’ (১৮৯৬) কাব্যত্রয়ীতে তিনি মহাভারত-বৰ্ণিত ঘটনার মৌলিক ব্যাখ্যা করেন। মোট ১৪ টি গ্রন্থের মধ্যে ‘ক্লিওপেট্রা’, ‘ভানুমতী’, ‘প্রবাসের পত্র’, ‘খৃষ্ট’ ও ‘অমিতাভ’ উল্লেখযোগ্য। গীতা ও চণ্ডীর কাব্যানুবাদ করেন। ‘আমার জীবন’ তার রচিত আত্মজীবনী। চট্টগ্রামের চা-শ্রমিকদের উপর গুলি চালনার (১৮৭৭) প্রতিবিধানে সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদকে বর্তমান রূপ দানে তার উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য।
Leave a Reply