নগেন্দ্ৰশেখর চক্রবর্তী, সর্দার (১৫-৭-১৮৯৩ – ৮-৩-১৯৮০)। দাসেরজঙ্গল—ফরিদপুর। প্ৰসন্নকুমার। পিতামহ ঈশ্বরচন্দ্রের স্বদেশী গ্রহণ ও বিলাতি বর্জন নীতি কৈশোরেই তাকে আকৃষ্ট করে। ১৩ বছর বয়সে বিলাতি লবণের দোকানে পিকেটিং করে বেত্ৰদণ্ডে দণ্ডিত হন। ময়মনসিংহ সিটি স্কুলের ছাত্র থাকা-কালে অনুশীলন সমিতি ও হেমেন্দ্ৰকিশোর আচাৰ্য চৌধুরীর ‘সাধনা সমিতি’র কার্যাবলীর সঙ্গে যুক্ত হন। এক সময়ে যাদুগোপাল মুখার্জি ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে চীনের কাছ থেকে অর্থপ্ৰাপ্তির সম্ভাবনায় পর্বতসংকুল সীমান্ত অঞ্চলে অশেষ ক্লেশে ২/৩ বছর কাটান।
১৯১৮ খ্ৰী. দেশে ফেরার পর কিছুদিন জেলে ও অন্তরীণে থাকতে হয়। ১৯২১ খ্রী. গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাবরণ করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের আহ্বানে তারকেশ্বর ও নাগপুর সত্যাগ্ৰহে সক্রিয় ছিলেন। ১৯২৪–২৮ খ্রী. কারারুদ্ধ থাকেন। মুক্তিলাভের পর আবার বিপ্লবী আন্দোলন সংগঠনে মন দেন। এ সময় জ্ঞানাঞ্জন নিয়োগীর সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে ম্যাজিক লণ্ঠনে স্নাইড সহযোগে গ্রামবাসীদের স্বদেশীয়ানায় উদ্বুদ্ধ করতেন। ১৯৩০ খ্ৰী. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের ঘটনার পর ময়মনসিংহে ধরা পড়ে ১৯৩৮ খ্রী. ছাড়া পান। ১৯৪২-এর আন্দোলনে পুনরায় ধৃত হয়ে স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত আটক থাকেন। কর্মীগঠনে ও কর্মীসংগ্রহে বিশেষ দক্ষ ছিলেন। ময়মনসিংহের বিপ্লবী মেয়েদের তিনিই সংগঠিত করেন। ‘বিপ্লবী নিকেতন’ প্ৰতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।
Leave a Reply