নগেন্দ্রচন্দ্র শ্যাম (১৮৯০? – ২৬-৬-১৯৬৪) বাসুদেবপুর-শ্ৰীহট্ট। নবীনচন্দ্র। শিলচরের লব্ধপ্রতিষ্ঠা ব্যবহারজীবী, খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ১৯১০ খ্ৰী. এন্ট্রান্স, শ্ৰীহট্ট মুরারিচাদ কলেজ থেকে আই.এ এবং কলিকাতা সিটি কলেজ থেকে বি.এ. পাশ করেন। বি-এল, পাশ করে প্রথমে মৌলবীবাজারে এবং ১৯২২ শ্ৰী থেকে শিলচরে প্রায় ৪২ বছর আইন-ব্যবসায় করে প্রভূত খ্যাতি ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। কিছুদিন সরকারী উকিলও ছিলেন। ‘সবুজপত্ৰ’ গোষ্ঠীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। শিলচরে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘ভবিষ্যৎ’ পত্রিকার মাধ্যমে একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল। এ ছাড়া ‘প্রাচ্যবার্তা’, ‘সুরমা’ ও ‘বর্তমান’ পত্রিকার সঙ্গেও দীর্ঘদিন সম্পাদক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন পত্রিকায় নানা বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত প্রবন্ধাদি প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত ‘রূপ ও রস’ নামক রবীন্দ্রসাহিত্যের সমালোচনামূলক গ্রন্থটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তার অপর গ্রন্থ ‘রবীন্দ্রনাথ, ধর্ম ও সমাজ’। বড় গল্প, কবিতা ও রসরচনায়ও পারদর্শী ছিলেন। সুরমা উপত্যকা অঞ্চলের সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার আসন ছিল সর্বাগ্রে। তিরিশের দশকে বিরূপ সমালোচনা সত্ত্বেও নিজস্ব পরিকল্পনায় তিনি স্ত্রী মালতী দেবী, নিজের ভগ্নী, কন্যা এবং বন্ধুকন্যা ও ছেলেদের নিয়ে A.I.W.C.–র শাখা নারী কল্যাণ সমিতির পক্ষে নৃত্য-অভিনয়ের অনুষ্ঠান করেছেন। শিলচরে ‘বাণী পরিষদে’র প্রতিষ্ঠাতা, আসাম রাজ্য পাবলিকেশন বোর্ডের সদস্য, স্থানীয় গুরুচরণ কলেজের গভনিং বডি ও গান্ধী স্মারকনিধির সভাপতি এবং শিলচর ল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া সঙ্গীত বিদ্যালয়, সুরলোক, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ট যোগ ছিল।
পূর্ববর্তী:
« দয়ালচন্দ্ৰ সোম, রায়বাহাদুর
« দয়ালচন্দ্ৰ সোম, রায়বাহাদুর
পরবর্তী:
নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত »
নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত »
Leave a Reply