দেবেন্দ্রনাথ দাস (২১-৪-১২৬৩ – ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। কলিকাতা হাইকোর্টের প্রখ্যাত উকিল শ্ৰীনাথ। ১৮৭২ খ্ৰী. হিন্দু স্কুল থেকে তিনি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় হন। ১৮৭৪ খ্রী. প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় প্রথম হয়ে গোয়ালিয়র মেডেল ও মাসিক বৃত্তি লাভ করেন। বি.এ. পাশ করে বিলাতে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পাশ করলেও নিয়ম অনুসারে বয়স বেশি বলে কাজে যোগ দিতে পারেন নি। ১৮৮২ খ্রী. দেশে ফিরে আসেন। বিলাতযাত্রার জন্য ত্যজ্যপুত্র হন। পাঁচ মাস পর সস্ত্রীক বিলাত চলে যান। বহুভাষাবিদ ছিলেন। কিছুদিন অধ্যাপনা করার পর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের হিন্দী, সংস্কৃত, উর্দু ও ফারসী শেখানর জন্য একটি স্কুল খোলেন। এই সময়ে ভারতের প্রাচীন সাহিত্য, সভ্যতা, দর্শনশাস্ত্র, ধর্ম প্রভৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে সুনাম অর্জন করেন। ১৮৯১ খ্রী. অসুস্থতার জন্য দেশে ফিরে সিটি ও রিপন কলেজে অধ্যাপনায় ব্ৰতী হন। পরে নিজে একটি উচ্চ ইংরেজী স্কুল ও ‘সেঞ্চুরী’ কলেজ খুলেছিলেন। আর্থিক অসুবিধার জন্য দুটিই পরে বন্ধ হয়ে যায়। ইতালীয় ভাষা থেকে ‘মিরোগী’ নামে একটি নাটক বাংলায় অনুবাদ করেন। রচিত ‘পাগলের কথা’ গ্রন্থটি তার আত্মজীবনী। তিনি এফ.এ. ও বি-এ, পরীক্ষার অনেকগুলি নোট লিখেছিলেন। লেখিকা ও সমাজসেবী কৃষ্ণভাবিনী তার স্ত্রী। ‘সময়’ সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা জ্ঞানেন্দ্ৰনাথ ও গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারের পরিচালক উপেন্দ্রনাথ তার দুই ভ্ৰাতা।
পূর্ববর্তী:
« দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহর্ষি
« দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহর্ষি
পরবর্তী:
দেবেন্দ্রনাথ বসু »
দেবেন্দ্রনাথ বসু »
Leave a Reply