তারাসুন্দরী (১৮৭৮? – ১৯.৪.১৯৪৮)। তিনি অভিনেত্রী বিনোদিনীর সাহায্যে ১৮৮৪ খ্রী. থিয়েটারে যোগদান করে প্রথমে ষ্টার থিয়েটারে বালকবেশে ‘চৈতন্যলীলা’ নাটকে ও ‘সরলা’য় গোপাল চরিত্রে অভিনয় করেন। তার প্রথম বালিকা চরিত্র ‘হারানিধি’ নাটকে। অমৃতলাল মিত্র তার নাট্যশিক্ষক ছিলেন। রামতারণ সান্যালের কাছে সঙ্গীত এবং কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নৃত্য শিক্ষা করেন। ১৮৯৪ খ্রী চন্দ্রশেখর নাটকে ‘শৈবালিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করে বিখ্যাত হন। সেখানে অমরেন্দ্ৰনাথ দত্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। কিছুদিন থিয়েটার থেকে অজ্ঞাতবাস করেন। পরে গিরিশচন্দ্রের প্রস্তাবে দুরাত্রি ‘করমেতি বাঈ’ চরিত্রে অভিনয় করে ক্ৰমে বহু থিয়েটারের সংস্পর্শে আসেন। দুর্গেশনন্দিনীতে ‘আয়েষা’, হরিশ্চন্দ্রে ‘শৈব্যা’, রামানুজে ‘রামানুজ’, বলিদানে ‘সরস্বতী’ ও রিজিয়া নাটকে নামভূমিকায় তার অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯২৫ খ্রী. শিল্পী-জীবনের শেষ পর্যায়ে বাংলা থিয়েটারে নবযুগের সূচনায় শিশিরকুমার ভাদুড়ীর সঙ্গে জনা নাটকে ‘জনা’ ও আলমগীর নাটকে ‘উদিপুরি’ চরিত্রাভিনয়ে তিনি স্মরণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
পূর্ববর্তী:
« তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
« তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
পরবর্তী:
তারিক আনাম »
তারিক আনাম »
Leave a Reply