তমিজখান, ডাঃ, খান বাহাদুর (? – ১৮৮২)। অতি সাধারণ অবস্থা থেকে নিজের অধ্যবসায়ে খ্যাতনামা চিকিৎসক হয়েছিলেন। দরিদ্র মুসলমান পরিবারের ছেলেদের জন্য নির্দিষ্ট কলিঙ্গা শাখা স্কুলে তার প্রথম শিক্ষা। এখানের শিক্ষা-শেষে প্রথমে এক ওষুধের দোকানে এবং পরে মেডিক্যাল স্টোরে কম্পাউন্ডার হিসাবে কাজে যোগ দেন। তার ডাক্তারী পড়ার আগ্রহের কথা জেনে মেডিক্যাল স্টোরের সুপারিন্টেণ্ডেন্ট ডাঃ গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজে তাঁর পড়ার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি প্ৰায় প্রতিটি পরীক্ষায় প্ৰথম স্থান অধিকার করেন। ধাত্রীবিদ্যা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে তিনিই প্রথম ‘গুডিব বৃত্তি’ লাভ করেন (১৮৪৬)। পরীক্ষা পাশের পর সাব-অ্যাসিস্টেন্টের চাকরি নিয়ে প্রথমে কুমায়ুন ও পরে লাহোরে যান। তার চেষ্টায় লাহোরে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হয়। ১৮৫২ খ্রী. কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাতপাতালের হাউস ফিজিশিয়ান হয়ে আসেন। ১৮৫৬ খ্রী. মধুসূদন গুপ্তের মৃত্যু হলে তিনি তাঁর স্থলে শারীরস্থানের শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৬৬ খ্রী. ভেষজবিদ্যার শিক্ষকপদ লাভ করেন। ডিসেম্বর ১৮৭৩ খ্ৰী. ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুল স্থাপিত হলে তিনি সেখানে ভেষজবিজ্ঞানের শিক্ষক হন। তার ৩৪ বছরের কর্মজীবনের দীর্ঘ ২৫ বছরই যুক্ত ছিলেন এই স্কুলের সঙ্গে। প্যাথলজি মিউজিয়মের গোড়াপত্তন তারই হাতে। ক্যালকাটা মেডিক্যাল সোসাইটির আজীবন সদস্য ও তিন বছর তার সহ-সভাপতি ছিলেন। তার ছাত্রদের মধ্যে নীলরতন সরকার অন্যতম।
পূর্ববর্তী:
« তফাজ্জল হোসেন (তোফাজ্জল)
« তফাজ্জল হোসেন (তোফাজ্জল)
পরবর্তী:
তরু দত্ত »
তরু দত্ত »
Leave a Reply