জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ (৪.৯.১৮৯৪ – ২১.১.১৯৫৯) পুরুলিয়া। রামচন্দ্ৰ। প্রখ্যাত রসায়নবিদ। গিরিডি থেকে ১৯০৯ খ্রী. প্ৰবেশিকা, ১৯১১ খ্রী. ৪র্থ স্থান অধিকার করে আইএস-সি ও কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১৩ খ্রী. রসায়ন শাস্ত্রে ১ম শ্রেণীতে ১ম হয়ে বিএস-সি এবং ১৯১৫ খ্রী রসায়নে ১ম শ্রেণীতে ১ম হয়ে এমএস-সি পাশ করেন। আচাৰ্য প্রফুল্লচন্দ্রের ছাত্র এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহার সতীর্থ ছিলেন। গাঢ় দ্রবণের ভিতরে লবণের অণুগুলি কিভাবে আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবহন করে—এই বিষয়ে মৌলিক গবেষণা করে ১৯১৮ খ্রী. ডিএস-সি উপাধি লাভ করেন ও পরে প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ বৃত্তি পান। তার গবেষণালব্ধ তত্ত্ব ‘ঘোষের আয়নবাদ’ নামে বিখ্যাত। ১৯২১–৩৯ খ্রী. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালে আরও নানা ধরনের গবেষণায় ব্যাপৃত ছিলেন। তার মধ্যে আলোক রসায়ন বা ফোটো কেমিষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সাধারণ গ্যাস থেকে ফিসারট্রপস পদ্ধতিতে অনুঘটকের (ক্যাটালিস্ট) সাহায্যে তরল জ্বালানির উৎপাদন বিষয়ে তাঁর গবেষণা দেশবিদেশে সমাদৃত হয়েছে। এই গবেষণা বিষয়ে তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘সাম ক্যাটালিটিক রিয়্যাকশনস অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইমপ্যারট্যান্স’। ১৯৩৯ খ্রী. ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি হন। তিনি ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটির অন্যতম প্ৰতিষ্ঠাতা এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৩৯ খ্রী থেকে দেশে নানা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার বহন করেছেন। ১৯৪৯ খ্রী. ইউনেস্কোয় তিনি ভারতের প্ৰতিনিধিত্ব করেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম আই আই টি, খড়গপুরের তিনি প্রথম ডিরেক্টর ছিলেন (১৯৫০/৫১–৫৪)। ১৯৪৩ খ্রী ‘নাইট’ উপাধি পান ও ১৯৫৪ খ্রী. ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিদ্বারা সম্মানিত হন।
পূর্ববর্তী:
« জ্ঞান চক্ৰবর্তী
« জ্ঞান চক্ৰবর্তী
পরবর্তী:
জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার »
জ্ঞানচন্দ্র মজুমদার »
Leave a Reply