জয়নারায়ণ ঘোষাল, মহারাজা (সেপ্টেম্বর ১৭৫২ – অক্টোবর ১৮২০) গড়-গোবিন্দপুর-কলিকাতা। কৃষ্ণচন্দ্ৰ। পিতামহ কন্দর্পনারায়ণের সময় থেকে তারা খিদিরপুরবাসী। সংস্কৃত, ফারসী ও ইংরেজী ভাষায় বুৎপত্তি অর্জন করে ১৭৬৭ খ্রী. মুর্শিদাবাদের নবাবের অধীনে কর্মে নিযুক্ত হন। পরে ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে চাকরি করে প্রচুর অর্থ ও যশ লাভ করেন। ওয়ারেন হেস্টিংসের বিশেষ অনুরোধে ১৮১৮ খ্রী. দিল্লীশ্বর তাকে ‘মহারাজা বাহাদুর’ উপাধি ও তিনহাজারী মনসবদারীর সনদ প্ৰদান করেন। এরপর তিনি দক্ষিণ কলিকাতায় ‘ভূকৈলাস’ প্রসাদ নির্মাণ করেন। ১৭৯১ খ্রী. অসুস্থতার জন্য কাশীবাসী হন ও সেখানে বহু মন্দিরে দেবমূর্তি বা প্ৰতীক ও ‘গুরুধাম’ এবং ১৮১৪ খ্রী. নিজ বাসভবনে ভারতের প্রাচীনতম ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে বিদ্যালয়টির ভার কাশীর ‘চার্চ’ মিশনারী সোসাইটির উপর ন্যস্ত হয় (১৮১৮)। এই অবৈতনিক বিদ্যালয়ে ইংরেজী, ফারসী, হিন্দুস্থানী ও বাংলা পড়ানো হত। তাকে এদেশে ইংরেজী শিক্ষাপ্রসারের অন্যতম প্ৰধান পথপ্রদর্শক বলা যায়। রচিত গ্ৰন্থ : সংস্কৃতে ‘শঙ্করী-সঙ্গীত’, ‘ব্রাহ্মণার্চনচন্দ্রিকা’, ‘জয়নারায়ণ কল্পদ্রুম’ প্রভৃতি এবং বাংলায় ‘করুণানিধানবিলাস’, ‘কাশীখণ্ড’ প্রভৃতি। এ ছাড়াও মহাভারতের হিন্দী অনুবাদে কাশীর রাজাকে সাহায্য করেন। পুত্ৰ কালীশঙ্করও দানশীল এবং শিক্ষানুরাগী ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« জয়দেব তর্কালঙ্কার
« জয়দেব তর্কালঙ্কার
পরবর্তী:
জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন »
জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন »
Leave a Reply