জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। (৭.১০.১৭৭৫ – ১৩.৪.১৮৪৬) বজ্রাপুর-নদীয়া। কেবলরাম তর্কপঞ্চানন। পিতার নিকট শিক্ষাপ্ৰাপ্ত হন। সাহিত্যিক এবং শাব্দিক হিসাবে খ্যাতি ছিল। প্ৰথমে তিন বছর প্রাচ্যতত্ত্ববিদ কোলব্রুকের পন্ডিতরূপে নিযুক্ত ছিলেন। ১৮০৫-২৩ খ্রী. শ্ৰীরামপুর মিশনে কেরীর অধীনে কাজ করেন। এই সময়েই ১৮১৮-২৩ খ্রী. শ্ৰীরামপুর থেকে প্ৰকাশিত মার্শম্যানের বাংলা সাপ্তাহিক ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান কর্মীদের অন্যতম ছিলেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতবহুল কঠিন বাংলাকে ব্যবহারের উপযোগী ও সহজ করে তুলেছিলেন। সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার (১৮২৪) পর কাব্যের অধ্যাপকররূপে সেখানে যোগ দিয়ে আমৃত্যু কাজ করেন। সেখানে তারাশঙ্কর তর্করত্ন, মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর তার ছাত্র ছিলেন। রামায়ণ ও মহাভারতের সংশোধিত সংস্করণ–প্ৰকাশ তার অন্যতম কীর্তি। সুকবি হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। বিম্বমঙ্গল-কৃত হরিভক্তিমূলক সংস্কৃত কবিতার বঙ্গানুবাদ ও ষড়ঋতু বৰ্ণনা প্রভৃতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতা রচনা করে গেছেন। এ ছাড়াও ফারসী ভাষায় একখানি অভিধানও সঙ্কলন করেন। রাধাকান্তদেব প্রতিষ্ঠিত ধর্মসভার একজন বিশিষ্ট সদস্য হিসাবে উক্ত সভা কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষাদি নির্বাহ করতেন। তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে ‘শিক্ষাসার’, ‘কৃষ্ণবিষয়কশ্লোকাঃ’, ‘চন্ডী’, ‘পত্রের ধারা’, ‘বঙ্গাভিধান’ প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
পূর্ববর্তী:
« জয়গোপাল গোস্বামী
« জয়গোপাল গোস্বামী
পরবর্তী:
জয়গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় »
জয়গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় »
Leave a Reply