চারুচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য (২৯.৬.১৮৮৩ – ২৬.৮.১৯৬১) হরিনাভি-চব্বিশ পরগনা। বসন্তকুমার। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এম.এ. পাশ করে (১৯০৫) প্রেসিডেন্সী কলেজে অধ্যাপনা করেন (১৯০৫ — ৪০)। তিনি বলতেন ‘বাংলার পাঁচজন এফ.আর.এস-এর মধ্যে একজন আমার শিক্ষক, বাকি চারজন ছাত্র’। —শিক্ষক হচ্ছেন আচার্য জগদীশচন্দ্ৰ এবং ছাত্ররা হচ্ছেন সত্যেন বসু, মেঘনাদ সাহা, প্রশান্ত মহলানবীশ ও শিশির মিত্র। সাহিত্যক্ষেত্রে তার অমর অবদান রবীন্দ্রনাথের বাংলা রচনাসমূহের সংগ্ৰহ-গ্ৰন্থ ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’র প্রকাশনা (প্ৰথম প্ৰকাশ ১৯৩৯)। বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগ তার দক্ষতায় সুলভে ‘বিশ্ববিদ্যাসংগ্ৰহ গ্ৰন্থমালা’ প্ৰকাশের ব্যবস্থা করে। সহজ, সরল ও হৃদয়গ্ৰাহী বাংলা ভাষায় লেখা ‘বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কাহিনী’, ‘নব্যবিজ্ঞান’, ‘বাঙ্গালীর খাদ্য’, ‘বিশ্বের উপাদান’, ‘তড়িতের অভ্যুত্থান’, ‘ব্যাধির পরাজয়’, ‘পদার্থবিদ্যার নবযুগ’ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ। ‘বিজ্ঞান প্রবেশ’ ও ‘পদার্থবিদ্যা’ গ্ৰন্থ রচনার মাধ্যমে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের পক্ষ থেকে বাংলায় বিজ্ঞান প্রচার-চেষ্টার সূচনা করেন। এ ছাড়া নানা প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি জগদীশচন্দ্রের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে সাধারণ্যে পরিচিত করেন। তার রচিত ‘কবিস্মরণে’ একখানি রসমধুর স্মৃতিচারণগ্রন্থ। বঙ্গ-রঙ্গমঞ্চের বিবরণ-সংবলিত ‘অথনটঘটিত’ গ্রন্থ তিনি ছদ্মনামে রচনা করেন। কয়েক বছর ‘ভাণ্ডার’ পত্রিকা এবং আমৃত্যু ‘বসুধারা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বিজ্ঞান পরিষদে তাঁর রাজশেখর স্মৃতি বক্তৃতা ‘পরমাণু নিউক্লিয়স’ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান রচনার অন্যতম মূল্যবান সংযোজন।
পূর্ববর্তী:
« চারুচন্দ্ৰ বসু
« চারুচন্দ্ৰ বসু
পরবর্তী:
চারুচন্দ্ৰ মিত্ৰ »
চারুচন্দ্ৰ মিত্ৰ »
Leave a Reply