ক্ষীরোদগোপাল মুখোপাধ্যায়১ কলিকাতা। কিশোরীলাল। অনুজ যাদুগোপাল ও ধনগোপালের সঙ্গে অনুশীলন সমিতির কাজে যুক্ত হন। ইংরেজ বিতাড়নের পন্থা হিসাবে বিদেশে গুপ্ত কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে ১৯০৮ খ্রী. বর্মায় যান। অনুজ ধনগোপাল যান জাপানে, দলের ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় যান শ্যাম দেশে। তিনি রেঙ্গুনে ও পরে মিচিনায় অবস্থান করতেন। বাংলার যে বিপ্লবী কর্মীরা বর্মায় যান, তিনি তাদের জন্য ক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত করে রেখেছিলেন। বর্মাপ্রবাসী কথাশিল্পী শরৎচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। বর্মায় অন্তরীণ-জীবন শেষ হলে তিনি কলিকাতায় ফিরে এসেছিলেন। ১৯১৯ খ্রী. স্বগৃহে নজরবন্দী থাকা-কালে সন্ন্যাসী হয়ে নিরুদ্দিষ্ট হন।
ক্ষীরোদগোপাল মুখোপাধ্যায়২ (১৮৯৫ – ১৭.৩.১৯৭৪)। ফৈয়াজ খাঁর ছাত্র। কাশিমবাজারের রাজার সভাগায়ক ছিলেন। তিনি কেশ গণেশ ঢেকনের কাছে ধামার এবং বারাণসীর নূরজাহানের কাছে ঠুংরী শেখেন। বাংলা সিনেমা এবং মঞ্চ-জগতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বাঙলার প্রথম সবাক চিত্র ‘জামাইষষ্ঠী’তে তিনি ছিলেন নায়ক। পরে আরও ২১টি ছবিতে অভিনয় করেন। সঙ্গীত-পরিচালক হিসাবেও সুনাম ছিল। নৃত্যপরিচালনায়ও দক্ষতা দেখিয়েছেন। মঞ্চে তিনি শিশির ভাদুড়ীর শ্ৰীরঙ্গমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাইওনিয়ার রেকর্ড কোম্পানীর সঙ্গীত-শিক্ষক ছিলেন। নিজেও কিছুসংখ্যক শ্যামাসঙ্গীত, ভাটিয়ালি, আধুনিক, ভজন প্রভৃতি রেকর্ড করেন। ম্যাডান কোম্পানী ও কলিকাতা রেডিওর সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত ছিলেন। রেডিওর পরিচালনা তখন কোম্পানীর হাতে ছিল। ‘পটলবাবু’ নামে খ্যাত ছিলেন।
Leave a Reply