ক্ষিতীশপ্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায় (১৫.১২.১৮৯৭ – ৩১.৫.১৯৬৩) কলিকাতা। যামিনীমোহন। বাঙলার দুই খ্যাতনামা মনীষী রাজা রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের বংশধারার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯১৩ খ্রীঃ সপ্তম স্থান অধিকার করে ম্যাট্রিক (ঐ বছর সুভাষচন্দ্ৰ দ্বিতীয় হয়েছিলেন), ১৯১৫ খ্রী. প্ৰথম স্থান লাভ করে আইএস-সি, ১৯১৭ খ্রী. পদার্থবিদ্যায় প্রথম শ্রেণীর অনার্সসহ বিএস-সি এবং ১৯২২ খ্রী. কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃতত্ত্ব বিষয়ে এমএসসি পাশ করে ‘অ্যান্থনি উইলকীন ফেলোশিপ’ পান। ১৯২৩ খ্রী. কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্বের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৯২৪ খ্রী. স্বরাজ্য দল চিত্তরঞ্জনের নেতৃত্বে কর্পোরেশন দখল করলে তিনি এড়ুকেশন অফিসার নিযুক্ত হন। তার অক্লান্ত চেষ্টায় কর্পোরেশনের ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থলে আরও ২২৯টি স্কুল স্থাপিত হয়। ১৯৩৫ খ্রী. পর্যন্ত ঐ পদে আসীন ছিলেন। ঐ বছরেই শ্যামাপ্রসাদের আমন্ত্রণে পুনরায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে ১৯৬৩ শ্ৰী অবসর নেন। ১৯৩৪ খ্রী. ইংল্যাণ্ডে অনুষ্ঠিত প্ৰথম বিশ্বনৃতত্ত্ববিদ সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ও ১৯৫২ খ্রী. ভিয়েনায় ঐ সম্মেলনের সহ-সভাপতি হন। সোভিয়েট-শিক্ষাবিদগণের আমন্ত্রণে মস্কো যান। ১৯৬০ শ্ৰী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর বিশ্ব juvenile Delinquency সম্মেলনে যোগদান করে প্রবন্ধ করেন। ছটি বিখ্যাত অনুসন্ধান-কার্যের পরিচালক ছিলেন। ১৯৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দের দুৰ্ভিক্ষ ও পুনর্বসতির সমস্যা, বাঙলার পাট-শিল্প। শ্রমিকদের অবস্থা, কলেজের ছাত্রদের পড়াশুনা ও বাস করার অবস্থা, Juvenile Delinquency প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রকাশিত গবেষণা-গ্ৰন্থ আছে। দীর্ঘ কুড়ি বছর সাওতালদের নিয়ে নৃতাত্ত্বিক গবেষণা করেছিলেন। ১৯৪২ খ্রী. নদীয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫২ খ্ৰী. কম্যুনিস্ট পার্টির সমর্থনে বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়ে ১৯৬০ খ্রী. পর্যন্ত ঐ পদে আসীন ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« ক্ষিতীশচন্দ্র রায়চৌধুরী
« ক্ষিতীশচন্দ্র রায়চৌধুরী
পরবর্তী:
ক্ষিরোদচন্দ্ৰ চৌধুরী, ডাঃ »
ক্ষিরোদচন্দ্ৰ চৌধুরী, ডাঃ »
Leave a Reply