কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৫.২.১৮৬৩ – ২৯.১১.১৯৪৯) দক্ষিণেশ্বর-চব্বিশ পরগনা। গঙ্গানারায়ণ। কবি পিতার মাধ্যমে সাহিত্যে প্রেরণা পান। ১৮৮৫ খ্রী. মে মাসে ‘বালক’ মাসিক পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের বেনামী রচনার উপর ‘শ্রীকেদার, দক্ষিণেশ্বর’ স্বাক্ষরে ‘রত্নোদ্ধার’ নামে সরস পত্র লিখে সাহিত্যক্ষেত্রে আত্মপ্ৰকাশ। উত্তর কলিকাতায় থাকাকালে ‘সংসার দর্পণ’ মাসিক পত্রিকা প্ৰকাশ করেন (১৮৮৮)। তার প্রথম প্ৰকাশিত কাব্য-নাটকের নাম ‘রত্নাকর’ (১৮৯৩)। ১৮৯৪ খ্রী তিনি ৩০০ প্রাচীন কবির সঙ্গীত সংগ্ৰহ করে একখানি সঙ্কলন-গ্ৰন্থ ‘গুপ্ত রত্নোদ্ধার’ নামে প্ৰকাশ করেন। সরকারী কাজে নানাদেশ ঘুরে, এমন কি চীনদেশে তিন বছর (১৯০২-০৫) কাটিয়ে, অবশেষে কাশীতে বসবাস শুরু করেন। পরে পূর্ণিয়ায় স্থায়ীভাবে বাস করতে থাকেন। তার রচিত সরস গ্ৰন্থ ‘কাশীর কিঞ্চিৎ’ (১৯১৫) সাহিত্যক্ষেত্রে আলোড়ন সৃষ্টি করে। নিয়মিত সাহিত্যসাধনা শুরু হয়। ১৯২৫ খ্রী. অপূর্ব ভ্ৰমণকাহিনী ‘চীন যাত্রী’র মাধ্যমে। ঐ বছরই তার প্রথম উপন্যাস ‘শেষ খেয়া’ প্ৰকাশিত হয়। অন্যান্য উপন্যাসঃ ‘কোষ্ঠীর ফলাফল’, ‘ভাদুড়ী মশা’’, ‘আই হ্যাজ’, ‘নকশা’ ও ছোট গল্প ‘আমরা কি ও কে’, ‘দুঃখের দেওয়ালী’ প্রভৃতি। ‘উড়ো খৈ’ তাঁর রঙ্গ-কাব্য। ৮২ বছর বয়সে লেখেন ‘স্মৃতিকথা’। সাহিত্যিক মহলের শ্রদ্ধেয় ‘দাদামশাই’ জীবন, সমাজ ও সংসারের বেদনাগুলি হাস্যরসের আবরণে প্ৰকাশ করেছেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ প্ৰদান করে (১৯৩৩)। তিনি প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের অন্যতম প্ৰতিষ্ঠাতা এবং দিল্লী (১৯২৬), মীরাট (১৯২৭) ও নাগপুর (১৯৩৪) সম্মেলনে সাহিত্য শাখার সভাপতি ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« কেদারনাথ দাস
« কেদারনাথ দাস
পরবর্তী:
কেদারনাথ মজুমদার »
কেদারনাথ মজুমদার »
Leave a Reply