কুলেন্দ্র রাহা রায় (৭.৯.১৮৯৭ – ২.১২.১৯৭৮) আবুয়া, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ। ভবানীচরণ। স্কুলে পড়ার সময় ১৯০৭ খ্রী. ফুলার সাহেবের ময়মনসিংহে আগমন উপলক্ষ্যে ছাত্ৰ-বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সেই বিক্ষোভ-মিছিলে ইস্তাহার ও প্ল্যাকার্ড সহ তিনি ধরা পড়েন। থানাতে আটক থাকার সময় পালিয়ে যান। ১৯০৯ খ্ৰী. ময়মনসিংহের ‘সুহৃদ সমিতি’ নামে বিপ্লবী সংগঠনের সদস্য হন ও বিপ্লবী নেতা হেমেন্দ্ৰকিশোর আচার্য চৌধুরীর সংস্পর্শে এসে ১৯১০ খ্ৰী. ‘সাধনা সমিতি’তে যোগদান করেন। ১৯১৫ খ্রী. বালেশ্বর সংগ্রামের পর ডাঃ যাদুগোপাল মুখার্জীর আদেশে নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী, সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ প্রভৃতিদের সঙ্গে চীন থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও সহায়তা পাবার আশায় আসাম, ভুটান ও তিব্বত-সীমান্তে এবং নেপালের বিভিন্ন দুৰ্গম অরণ্যময় অঞ্চলে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কয়েক বছর কাটান। পরে একা দেশে ফিরে এলে গ্রেপ্তার হন ও রেগুলেশন থ্রি-তে ১৯১৭-২০ খ্রী. আটক থাকেন। ছাড়া পেয়ে কিছুদিন রেলে চাকরি করেন। সে-সময়েও বিপ্লবীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। অস্ত্ৰ আইন ভঙ্গ ও অন্যান্য বিপ্লবী কার্যাবলীর জন্য কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৩০ খ্রী. রাচিতে ডাঃ যাদুগোপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ১০৯ ধারায় ধরা পড়েন। ১৯৩৮ খ্ৰী. মুক্তিলাভ করে ময়মনসিংহে ফিরে কংগ্রেসকমী হিসাবে কাজ করতে থাকেন। দেশ-বিভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে এসে কংগ্রেসকমী হিসাবে সুরেন ঘোষের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে সংগঠনের কাজ করেন। ১৯৭১ খ্ৰী. পূর্ব-পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ সক্রিয় ছিলেন ও মুক্তিফৌজ সংগঠনের কাজে কয়েকবার বাংলাদেশে যান। অকৃতদার ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« কুলুইচন্দ্র সেন
« কুলুইচন্দ্র সেন
পরবর্তী:
কুসুমকুমারী »
কুসুমকুমারী »
Leave a Reply