কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় (১.৩.১৮৬৩ – ১২.১১.১৯১৯)। পিতার কর্মস্থল জলপাইগুড়িতে জন্ম। চন্দননগরের রাজা রামজীবনের বংশধর। পরবর্তী কালে পিতা লাহোরে চাকরি নিয়ে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হন। শিক্ষারম্ভ লাহোর স্কুলে। মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারী পড়া ছেড়ে কিছুকাল সন্ন্যাস-জীবন যাপনের পর গৃহে ফিরে আসেন ও ‘সিভিল মিলিটারী গেজেট’ (লাহোর) পত্রিকায় অনুবাদকের পদে যোগ দেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং ধর্মীয় ও সামাজিক নেতারূপে অল্পদিনেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৮৮৫ খ্রী. রেভারেণ্ড গোলোক চট্টোপাধ্যায়ের ‘ট্রিবিউন’ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯০৩ খ্রী. এই পত্রিকার প্রতিনিধিরূপে দিল্লীর দরবারে উপস্থিত ছিলেন। ১৯০৫ খ্রী. ট্রিবিউন ছেড়ে ‘লাইট’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্ৰকাশ করেন। ১৯০৭ খ্রী. শিশির কুমার ঘোষের আমন্ত্রণে কলিকাতায় অমৃতবাজার পত্রিকায় সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। ১৯১০ খ্রী. লাহোরে ফিরে যান ও ‘পাঞ্জাবী’ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯১১ খ্রী. বারাণসীতে ‘ভারতধর্ম মহামণ্ডলে’র মুখপত্ৰ সম্পাদনা করেন। কিছুদিন ‘কসমোপলিটান’ পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯১৮ খ্রী. শান্তিনিকেতন পরিদর্শন করেন এবং সেখানে তাঁর প্রদত্ত দুটি বক্তৃতা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে মুগ্ধ করে। শিবনাথ শাস্ত্রী ও সুরেন্দ্রনাথের রাজনৈতিক প্রভাবাধীন ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনিই পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা। বিধবা-বিবাহ আন্দোলনে উৎসাহী ছিলেন। লাহোর D.A.V. কলেজ স্থাপনে হংসরাজকে সাহায্য করেন। নিজেও ১৮৯৬ খ্রী. এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ছিলেন। জন্মসূত্রে বাঙালী হলেও বেশভূষায়, চালচলনে ও কথাবার্তায় পাঞ্জাবী ছিলেন। সঙ্গীত, অঙ্কন-শিল্প, সাহিত্য, উদ্ভিদবিদ্যা, প্ৰাণিতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়েও তার গভীর জ্ঞান ছিল। ‘শিখ সামরাত’ ও ‘সতীর অভিশাপ’ নামক ঐতিহাসিক উপন্যাসের লেখক।
পূর্ববর্তী:
« কালীপ্রসন্ন ঘোষ, রায়বাহাদুর, সি.আই.ই.
« কালীপ্রসন্ন ঘোষ, রায়বাহাদুর, সি.আই.ই.
পরবর্তী:
কালীপ্রসন্ন তর্কচূড়ামণি »
কালীপ্রসন্ন তর্কচূড়ামণি »
Leave a Reply