কালীপদ ভট্টাচাৰ্য (? – ১৯৭৮) চট্টগ্রাম। প্রথম যৌবনে বিপ্লবী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় নির্যাতিত হন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যোগ ছিল। সাহিত্যসেবায় তাকে মধুসূদন, হেমচন্দ্র ও নবীনচন্দ্রের উত্তরসাধক বলা যায়। পাঁচখানি বিশালায়তন মহাকাব্য গ্রন্থের রচয়িতা : চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন ও তৎপরবর্তী ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে রচিত ‘জালালাবাদের যুদ্ধ’, নেতাজী সুভাষচন্দ্র ও আজাদ হিন্দ ফৌজের শৌর্য-বীর্যের কাহিনী অবলম্বনে ‘আজাদ হিন্দ নেতাজী কাব্য’, মহাত্মাজীর জীবন ও বাণীর কাব্যরূপ ‘গান্ধী-জীবন’, রুশ বিপ্লবের কাব্যেতিহাস ‘সোভিয়েট ঐতিহাসিক মহাকাব্য’ ও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রাক অবস্থার পটভূমিকায় রচিত ‘রাজসূয় মহাকাব্য’। বাংলায় ও ইংরেজীতে খণ্ডকবিতাও লিখেছিলেন। শেষের দিকের রচনায় বৈষ্ণব ভাব-ভক্তির প্রাধান্য দেখা যায়। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তিনি নবদ্বীপের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের পণ্ডিতদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকেন এবং সেখানকার গোবিন্দ মন্দিরের পক্ষ থেকে ‘নবদ্বীপ হিতৈষী’ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। কলিকাতার শ্ৰীচৈতন্য রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। কয়েক বছর ‘নবপর্যায় বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন। কর্মজীবনে সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং সেই সূত্রে একসময়ে সমবায় আন্দোলনের মুখপত্র ‘ভাণ্ডার’ পত্রিকা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
পূর্ববর্তী:
« কালীপদ বসু
« কালীপদ বসু
পরবর্তী:
কালীপদ মুখোপাধ্যায় »
কালীপদ মুখোপাধ্যায় »
Leave a Reply