কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত (৬.৮.১৮৮৪ – ?) ফুল্লশ্ৰী-বরিশাল। বিশিষ্ট চিকিৎসক ও নাট্যকার মহেশচন্দ্র। সাহিত্যিক। কুচবিহার কলেজ থেকে বি-এ পাশ করেন। আইন পড়া ছেড়ে তৎকালীন জাতীয় দৈনিক ‘নবশক্তি’ পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। তারপর একই সঙ্গে ‘দেবালয়’ প্ৰতিষ্ঠানের ও ‘দেবালয়’ মাসিকপত্রের সম্পাদকের কাজ করেন। কিছুকাল ‘বিশ্বকোষ’-এর লেখকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং Society for the Resuscitation of Oriental Literature, হিন্দুস্থান বীমা কোম্পানী ও ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এক সময় ‘বার্ষিক শিশুসাখী’ সম্পাদনার ভারও তার উপর ন্যস্ত ছিল। কলিকাতা ইউনিভারসিটি প্রেসের সুপারিনটেন্ডেন্টের কার্যভার গ্রহণ করেন। পরে ইউনিভারসিটির অফিস-সুপারিনটেন্ডেন্ট ও কয়েকবার সাময়িকভাবে অ্যাসিট্যান্ট রেজিস্টারের কাজ করে অবসর নেন। সাহিত্যক্ষেত্রে শিশুসাহিত্য রচনার জন্য প্রতিষ্ঠালাভ করেন। এই বিভাগে তার উল্লেখযোগ্য রচনাঃ ‘সাবিত্রী’, ‘তাই তাই’, ‘ফুলঝুরি’, ‘চরকাবুড়ী’, ‘তেপান্তরের মাঠ’, ‘তে-রাত্তিরের তাইরে নাইরে না’, ‘এবেলা ওবেলার গল্প’, ‘য়্যাং-ব্যাং’, ‘ঝলমল’ প্রভৃতি। মিলটনের Lycidas কবিতার অনুবাদ করেন। দেশপ্ৰেমাত্মক কাব্যগ্রন্থ ‘আমার দেশ’ ও ‘পূজা’। এছাড়া ‘মালঞ্চের ফুল’, ‘বিষের হাওয়া’, ‘হিমালয়ের হিমতীর্থে’ প্রভৃতি গ্ৰন্থ রচনা করেন। ‘ইতিহাসের পড়া’ ও ‘ভূ-পরিচয়’ তার দু’খনি স্কুল-পাঠ্য বই।
পূর্ববর্তী:
« কার্তিক বসু
« কার্তিক বসু
পরবর্তী:
কার্তিকেয়চন্দ্র রায়, দেওয়ান »
কার্তিকেয়চন্দ্র রায়, দেওয়ান »
Leave a Reply