কানাইলাল ভট্টাচাৰ্য১ (১৯০৯ – ২৭.৭.১৯৩১) মজিলপুর-চব্বিশ পরগনা। নগেন্দ্রনাথ। তিনি বিমল গুপ্ত ছদ্মনামে দীনেশ গুপ্ত ও রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির দণ্ডাদেশকারী বিচারক গার্লিককে ২৭.৭.-১৯৩১ খ্রী. হত্যা করেন। কিন্তু এক প্রহরী সার্জেন্টের গুলিতে তিনিও নিহত হন। তার পকেটে একখণ্ড কাগজ পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল—’ধবংস হও; দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার লও’। মেদিনীপুরের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্ট্রেট পেডীর হত্যার ব্যাপারে পুলিস বিমল গুপ্তকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল। তিনি ছদ্মনাম নিয়ে নিজ জীবনের বিনিময়ে বিমল গুপ্তকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। পুলিস দীর্ঘদিন তার প্রকৃত পরিচয় উদ্ধার করতে পারে নি।
কানাইলাল ভট্টাচাৰ্য২ (১৯১৮ – ১৯.১২.১৯৮৩) সাঁত্রাগাছি-হাওড়া। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র, এম.এস.সি, ডি.ফিল। কলেজে পড়ার সময় থেকেই রাজনৈতিক কর্মী। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নেতাজীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্ম (১৯৩৯) থেকেই তার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৪২ খ্রী. আত্মগোপন অবস্থায় ধরা পড়ে তিন বছর আটক থাকেন। এ ছাড়াও কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। ১৯৫২ খ্রী. থেকে বিধানসভার সদস্য, ১৯৬৯ খ্রী. যুক্তফ্রন্ট সরকারের কৃষিমন্ত্রী এবং ১৯৭৭ খ্রী. থেকে আমৃত্যু বামফ্রন্ট সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। ‘ডঃ ভট্টাচাৰ্যস মালটিপল ভেনম’ নামে প্রচলিত সাপবিষের প্ৰতিষেধক ওষুধটির তিনি আবিষ্কারক।
Leave a Reply