করুণাময় সরস্বতী (১৯০৫—১৮.১২.১৯৭৭) টোলবাসাইল-বিক্রমপুর, ঢাকা। পিতা সুকবি ও ঢাকা জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপক বামাচরণ বিদ্যালঙ্কার। ছোটবেলা থেকেই অসাধারণ স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। ছাত্রাবস্থাতে সমগ্ৰ বেদ তার কণ্ঠস্থ ছিল। বেদ, বেদান্ত, বেদাঙ্গ, ভারতীয় দর্শন ও তন্ত্রশাস্ত্ৰ, প্ৰাচ্য ও পারদর্শিতা লাভ করেন। ২৭ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুধর্মের উপর বক্তৃতা দেবার জন্য আমন্ত্রিত হন। গীতার নতুন ব্যাখ্যা ও ভাষ্যের জন্য প্রসিদ্ধিলাভ করেন। ১৯৩৫ খ্রী. এলাহাবাদে কুম্ভমেলায় বিশ্বকল্যাণ মহাবিষ্ণু সঙ্ঘের সভাপতি হন। ১৯৩৭ খ্রী. মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত গণনাথ বলেছিলেন, ‘মাত্র ৩২ বছর বয়সেই তিনি প্ৰাচ্য ও প্রতীচ্যের জ্ঞানভাণ্ডারের সন্ধান পেয়েছেন’। ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রেও তার অসাধারণ জ্ঞান ছিল। ১৯৬৬ খ্রী. তানসেন সঙ্গীত সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৩ খ্রী. কাশীর পণ্ডিতবর্গ তাকে অভিনন্দন জানান। ধর্মীয় জনসভাগুলিতে তিনি সংস্কৃত, হিন্দী, ইংরেজী, ফরাসী ও জার্মান ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা দিতে পারতেন। ভারতের লুপ্তপ্রায় বিভিন্ন শাস্ত্ৰগ্ৰন্থ পুনর্মুদ্রণ করে অধ্যাপক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের বন্টন করেছেন। তাঁর পুস্তক-সংগ্রহশালায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বহু দুস্তপ্রাপ্য গ্ৰন্থসহ বিভিন্ন বিষয়ক প্ৰায় ২৫,০০০ গ্ৰন্থ ছিল। তার প্রতিটির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। পণ্ডিত ব্যক্তিরা তাকে ‘জ্ঞানতপস্বী’ বলতেন।
পূর্ববর্তী:
« করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়
« করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়
পরবর্তী:
করুণাময়ী »
করুণাময়ী »
Leave a Reply