ওয়াজিদ আলী শাহ (১৩.৭.১৮২২ – ২১.৯.১৮৮৭) লক্ষ্মেী। আমজাদ আলী শাহ। অযোধ্যা রাজ্যের শেষ নবাব। ইংরেজ সরকার কর্তৃক সিংহাসনচু্যত হন ও কলিকাতার মেটিয়ারুরুজে বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকার বৃত্তিভোগী হয়ে নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি লক্ষেীয়ে ঠুংরি গানের অন্যতম প্রধান প্ৰচলনকর্তা ছিলেন। বাঙলার সঙ্গীত-জগতেও তার দান অসামান্য। নিজে সঙ্গীতজ্ঞ ও সঙ্গীত-রচয়িতা ছিলেন। তার দরবারে বহু গুণী ব্যক্তি সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। ফলে এখান থেকে বাঙালীদের মাগ-সঙ্গীত শিক্ষার সুযোগ আসে। অঘোরনাথ চক্রবর্তী, প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যদুনাথ রায়, যদু ভট্ট, কেশব মিত্র, কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এবং অন্যান্য বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ‘বাবুল মোরা নৈহার ছুটি না যায়’ এই বিখ্যাত ঠুংরির তিনিই রচয়িতা। ফোর্ট উইলিয়মে বন্দী অবস্থায় আখতার ছদ্মনামে তিনি ‘হুজন-ই-আখতার কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। তার অন্যান্য গ্ৰন্থ : ‘তারিখ-ই-পরীখানা’, ‘তারিখ-ই-মুমতাজ’ প্রভৃতি। রাধাকৃষ্ণ-প্রেমোপাখ্যান-বিষয়ক একটি উর্দু গীতি-নাট্য এবং ‘নাজু, ‘বাঁজি’ ও ‘দুলহন’ নামে সঙ্গীত-বিষয়ক গ্রন্থের (৩ খণ্ড) রচয়িতা। নিজের গ্রন্থাদি মুদ্রণের জন্য মেটিয়াবুরুজে একটি ছাপাখানাও স্থাপন করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« ওয়াজিদ আলী খান পন্নি
« ওয়াজিদ আলী খান পন্নি
পরবর্তী:
ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ »
ওয়ালীউল্লাহ, সৈয়দ »
Leave a Reply