উমেশচন্দ্র দত্ত (১৬.১২.১৮৪০ – ১৯.৬.১৯০৭) কলিকাতা। দুর্গাচরণ। প্রপিতামহ-অক্রুর। ‘সংবাদ প্রভাকর’-এর অন্যতম লেখক ছিলেন। নবীন লেখকদের উৎসাহিত করবার জন্য তিনি উৎকৃষ্ট রচয়িতাদের পুরস্কার দিতেন। ইংরেজ কবি মুরের বহু কবিতা বাংলা ছন্দে অনুবাদ করেন। সঙ্গীতরচনাতেও পারদর্শী ছিলেন। রচিত গানের অধিকাংশই ব্যঙ্গরসাত্মক। প্রজাদের করবৃদ্ধি ও কেরীর দশ আইন উপলক্ষে গান রচনা করেছিলেন। ১৮৫৩ খ্রী. প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মেট্রোপলিটান কলেজের অন্যতম অবৈতনিক সম্পাদক। বহু জনহিতকর কার্যের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
উমেশচন্দ্ৰ দত্ত (১৬-১২-১৮৪০ – ১৯-৬-১৯০৭) মজিলপুর-চব্বিশ পরগনা। হরমোহন। ১৮৫৯ খ্রী ভবানীপুরের লন্ডন মিশনারী সোসাইটি ইনস্টিটিউশোন থেকে এনট্রান্স পাশ করেন। ঐ বছরেই দেবেন্দ্রনাথ ও কেশবচন্দ্রের সান্নিধ্যে ব্ৰাহ্মধর্ম গ্ৰহণ করেন। পরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশুনা বন্ধ রাখেন। ১৮৬২ খ্রী. থেকে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৮৬৭ খ্ৰী. প্ৰাইভেটে বি.এ. পাশ করেন। এই বছরেই ব্ৰাহ্মমতে বিবাহ হয় এবং সপরিবারে কেশবচন্দ্রের ‘ভারত আশ্রম’-ভুক্ত হন। শিক্ষা ও সংস্কৃতিমূলক বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন। পরে কেশববিরোধী সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ প্ৰতিষ্ঠায় তার অগ্রগণ্য ভূমিকা ছিল (১৮৭৮)। ১৮৭৯ খ্রী. সিটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হলে তার প্রধান শিক্ষক এবং ১৮৮১ খ্রী. সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠার বছর থেকে আমৃত্যু তার অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৮৯৩ খ্রী। তিনজন বন্ধুর (যামিনীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্ৰীনাথ সিংহ, মোহিনীমোহন) মূকবধির বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং তার সম্পাদক নিযুক্ত হন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেনেটের সদস্য, সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের সম্পাদক ও সভাপতি এবং ‘বামাবোধিনী’, ‘ধর্মসাধন’, ‘ভারত-সংস্কারক’ প্রভৃতি পত্রিার সম্পাদক ছিলেন। নারীজাতিকে সর্বপ্রকারে শিক্ষিত করে তোলার জন্য ‘বামাবোধিনী পত্রিকা (১২৭০ ব-) এবং ১৮৭২ খ্রী. ‘বামারচনাবলী’ ও ‘স্ত্রীলোকদিগের বিদ্যার আবশ্যকতা গ্রন্থ দুখানি প্রকাশ করেন।
Leave a Reply