উপেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (৬.৬.১৮৭৯ – ৪.৪.১৯৫০) গোন্দলপাড়া–চন্দননগর। চন্দননগর ড়ুপ্লে কলেজ থেকে এফ. এ. পাশ করে কলিকাতা ডাফ কলেজে বি.এ. পাঠরত অবস্থায় বিপ্লবী দলে যোগ দেন। ১৯০৫ খ্ৰী. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের যুগে ‘যুগান্তর’ ও ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯০৮ খ্রী. মুরারিপুকুর বোমার মামলায় ধৃত হন এবং ১৯০৯ খ্রীকারাদণ্ডাজ্ঞা প্ৰাপ্ত হয়ে আন্দামান জেলে প্রেরিত হন। ১২ বছর পর মুক্তি পান। ফেরারী বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রতিবাদে। ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্ৰবন্ধ প্ৰকাশ করেন। এই সময় চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ স্থাপিত হয় এবং চিত্তরঞ্জন প্রতিষ্ঠিত ‘নারায়ণ’ পত্রিকায় নিয়মিত লেখা আরম্ভ করেন। ১৯২২ খ্রী. অমরেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক পত্রিকা ‘আত্মশক্তি’ প্রতিষ্ঠা করে তার প্ৰকাশনা ও সম্পাদনার ভার উপেন্দ্রনাথের হাতে অৰ্পণ করেন। ‘আত্মশক্তি’ লাইব্রেরী থেকে উপেন্দ্রনাথের গ্রন্থাবলী প্রকাশিত হতে থাকে। স্বরাজ্যদলের মুখপত্ৰ ‘স্বদেশ’-এর প্রতিষ্ঠা ব্যাপারেও তিনি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন। ১৯২৩ খ্রী. ২৫ সেপ্টেম্বর সরকার তাকে ৩নং রেগুলেশনে গ্রেপ্তার করে। ১৯২৬ খ্রী. মুক্তিলাভের পর প্রধানত সাংবাদিকতা-কার্যে ব্ৰতী হন। ‘ফরোয়ার্ড’, ‘লিবার্টি’, ‘অমৃতবাজার’ প্রভৃতি’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৫ খ্রী. থেকে আমৃত্যু ‘দৈনিক বসুমতী’ সম্পাদনা করেন। ১৯৪৯ খ্রী. থেকে প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভার সভাপতি ছিলেন। রচিত ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’ (১৯২১) ও ‘উনপঞ্চাশী’ (১৯২২) গ্রন্থে তার উজ্জ্বল হাস্যরস ও অনায়াস বাগভঙ্গি পরিস্ফুট। অন্যান্য পুস্তক : ‘পথের সন্ধান’, ‘স্বাধীন মানুষ’, ‘ধর্ম ও কর্ম, ‘বর্তমান সমস্যা’, ‘জাতের বিড়ম্বনা’, ‘অনন্তানন্দের পত্র’, ‘বর্তমান জগৎ’ ইত্যাদি।
পূর্ববর্তী:
« উপেন্দ্ৰনাথ দাস
« উপেন্দ্ৰনাথ দাস
পরবর্তী:
উপেন্দ্ৰনাথ ব্ৰহ্মচারী, স্যার »
উপেন্দ্ৰনাথ ব্ৰহ্মচারী, স্যার »
Leave a Reply