ইন্দুভূষণ বসু ডাঃ, যতীন্দ্র রামানুজাচার্য (১৮১২-১৮৯২ – ২৬-১২-১৯৭৫) আকনা-হুগলী। রসিকলাল। সুচিকিৎসক ও পরম বৈষ্ণব। ১৯০৯ খ্ৰী. কলিকাতার মিত্র। থেকে এন্ট্রান্স, ১৯১১ খ্রী. স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে আইএস-সি, এবং ১৯১৭ শ্ৰী, কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চারটি বিষয়ে অনার্স সহ প্ৰথম স্থান অধিকার করে এম.বি. পাশ করেন। পরের বছরই এমডি, পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন। স্বাধীনভাবে চিকিৎসা-ব্যবসায়ে প্রভূত সুনাম অর্জন করেছিলেন। ১৯১২–১৯৪৭ খ্রী. কারমাইকেল মেডিক্যাল (বর্তমান আর. জি. কর) কলেজ ও হাসপাতালের অবৈতনিক চিকিৎসক এবং অধ্যাপক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ও ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটির মেডিক্যাল সেক্রেটারী, ক্যালকাটা মেডিক্যাল জার্নালের প্রধান সম্পাদক প্রভৃতি দায়িত্বপূর্ণ কর্মভার পালন করেন। পরামর্শদাতা চিকিৎসক হিসাবে ভারতের বিভিন্ন প্ৰান্তে তাকে চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করতে হত। ছাত্রাবস্থাতেই ধৰ্মজীবনের প্রতি আগ্ৰহান্বিত ছিলেন। শাক্ত পরিবারের সন্তান হলেও ১৯১৯ শ্ৰী অযোধ্যার শ্রীশ্রীবলরাম স্বামীজী মহারাজের কাছে বৈষ্ণব মতে দীক্ষা নেন। ১৯৪৬ খ্রী। তিনি খড়দহতে ‘শ্ৰীশ্ৰীলক্ষ্মীনারায়ণজিউর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৪৮ খ্ৰী. থেকে সেখানে আশ্রমবাসীর জীবন যাপন করতে থাকেন। এ সময়ে তিনি পূর্বাশ্রমের নামও ত্যাগ করেন। মন্দিরকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে তিনি ‘শ্রীবলরাম ধর্মসোপান’ নামে এক বিরাট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সর্বশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন, বেদান্ত-উপনিষদাদির ভাষ্য রচনা ও কীর্তনের মাধ্যমে জনসাধারণের মনে ভগবচ্চিন্তা উজজীবিত করার প্রয়াসী ছিলেন। কীর্তনাচাৰ্য নবদ্বীপ ব্ৰজবাসীর কাছে গরাণহাটি ধারার কীর্তন শিক্ষা করেন। তামিল ভাষায় লিপিবদ্ধ বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের আকারগ্রন্থসমূহ থেকে জ্ঞানার্জনের জন্য তামিল ভা আয়ত্ত করে শ্ৰীরঙ্গমে গিয়ে বিভিন্ন আচার্যের কাছে পাঠ নেন। বিশিষ্টাদ্বৈত সিদ্ধান্ত ও ইহার প্রাচীনত ‘শ্ৰীবাচনভূষণ’, ‘শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা রামানুজভাষ্য’, ‘মানব উজ্জীবন’, ‘শ্ৰীবৈষ্ণব দর্শন ও ধর্ম’ প্রভৃতি ৬০খানিরও বেশি গ্রন্থের রচয়িতা। কিছু প্রার্থনাসঙ্গীত ও পদ আখরও রচনা করেছেন। ১৯৫৪ খ্রী. থেকে মাসিক ‘উজজীবন’ পত্রিকা প্ৰকাশ করেন। মন্ত্রদীক্ষা দিতেন।
পূর্ববর্তী:
« ইন্দুভূষণ চট্টোপাধ্যায়
« ইন্দুভূষণ চট্টোপাধ্যায়
পরবর্তী:
ইন্দুভূষণ বিদ »
ইন্দুভূষণ বিদ »
Leave a Reply