আশুতোষ চৌধুরী, স্যার (১২.৬.১৮৬০ – ২৪.৫.১৯২৪) হরিপুর-পাবনা। দুর্গাদাস। প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে একই বছরে (১৮৮০) বি-এ, ও এম-এ–পাশ করে ১৮৮১ খ্রী–বিলাত যান। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৮৫ খ্রী. বি.এ. ও ব্যারিস্টারি, ১৮৮৬ খ্রী. এম.এ ও এলএম পাশ করেন। কলিকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসাবে প্রভূত অর্থ ও যশোর অধিকারী হন। দেবেন্দ্রনাথের পৌত্রী প্রতিভা দেবীকে বিবাহ করেন ও ব্ৰাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। নানা জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৎকালীন কংগ্রেসের ভিক্ষাবৃত্তির নীতি পরিত্যাগ করে স্বনির্ভরতায় জোর দিতেন। বঙ্গীয় প্রদেশিক সম্মেলনের (২৫-৬-১৯০৪) ভাপতির ভাষণে তিনি বলেছিলেন ‘A subject race as no politics’ সংগঠন দৃঢ় করার জন্য প্রতিটি জেলায় পরিষদ গঠন, রাখিবন্ধন এবং বঙ্গবিভাগ রদ অংশগ্রহণ করেন। দেশে পল্লীসমাজ স্থাপনে উদ্যোগী ছিলেন। ফেডারেশন মাঠের সভায় (১৬ অক্টো, ১৯০৫) আনন্দমোহন বসুর বিখ্যাত বক্তৃতার ইংরেজী তিনিই করেন। এই বছর ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এড়ুকেশন গঠনে প্রধান ভূমিকা নেন (১৬ নভেম্বর ১৯০৫)। দেশে শিল্পবিস্তারের পটভূমিকায় কাউন্সিল বেঙ্গল টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপনে এবং ‘বঙ্গলক্ষ্মী মিলস’ প্ৰতিষ্ঠায় অগ্ৰণী ছিলেন। বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। য় দত্তের ‘গোচারণের মাঠ’ কবিতার ব্যঙ্গানুকৃতি রন। আর্ট সোসাইটি অফ দি ওরিয়েন্টের সঙ্গেও যুক্ত। কিছুদিন সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯১২-১৯২০ খ্রী. পর্যন্ত কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। আদি ব্ৰাহ্মসমাজের সভাপতিত্ব করেন। বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত তিনিও আৰ্যসমাজের সঙ্গে ব্ৰাহ্মসমাজের যোগস্থাপনে উদ্যোগী হন। শিকারী কুমুদনাথ ও সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী তাঁর ভ্রাতা।
পূর্ববর্তী:
« আশুতোষ চৌধুরী
« আশুতোষ চৌধুরী
পরবর্তী:
আশুতোষ তর্কভূষণ, মহামহোপাধ্যায় »
আশুতোষ তর্কভূষণ, মহামহোপাধ্যায় »
Leave a Reply