আশুতোষ কালী (১৮৯১ – ৭-৬-১৯৬৫) বিলাসখান-ফরিদপুর। ঈশ্বরচন্দ্ৰ। শ্ৰীহট্ট কলেজে পাঠ্যাবস্থায় অনুশীলন সমিতির সভ্য হন ও নেতা পুলিন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। পুলিস রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি চন্দ্ৰকোনা ডাকাতি, পুলিস ডিএসপি, যতীন্দ্রমোহন ঘোষ হত্যা (১৯১৫) এবং ইন্দো-জার্মান ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। ময়মনসিংহ জেলা সংগঠকের পদ পান। কিছুকাল কুমিল্লার রায়পুরায় শিক্ষকতাও করেন। ১৯১৬–৩৮ খ্রী. পর্যন্ত ২২ বছর বিভিন্ন জেলে বন্দী থাকেন। মুক্ত অবস্থায় সংগঠন গড়ার কাজে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ও সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুভাষচন্দ্রের বিপ্লবী সংগঠন প্ৰস্তুতির জন্য আত্মগোপন করেন। ১৯৪০ খ্রী. আবার ধরা পড়েন ও ১৯৪৬ খ্রী. মুক্ত হন। তাদের গোটা পরিবার বিপ্লবমান্ত্রে দীক্ষিত ছিল এবং অনেকেই কারাবাস বা অন্তরীণ দণ্ডভোগ করেছেন। তিনি কিছুদিন ফরিদপুর জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক এবং বহুদিন বঙ্গীয় প্রাদেশিক ও নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সদস্য ছিলেন। বিলাসখান জাতীয় বিদ্যালয় এবং স্বাধীন ভারতে বৃদ্ধ ও নিরুপায় বিপ্লবীদের আশ্রয়কেন্দ্ৰ ‘অনুশীলন ভবন’ স্থাপন তার বিশিষ্ট কীর্তি। এই ভবনের দ্বিতল থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
পূর্ববর্তী:
« আশুতোষ কাব্যব্যাকরণস্মৃতিতীৰ্থ
« আশুতোষ কাব্যব্যাকরণস্মৃতিতীৰ্থ
পরবর্তী:
আশুতোষ কুইলা »
আশুতোষ কুইলা »
Leave a Reply