আমীর আলী, সৈয়দ, স্যার (৬-৪-১৮৪৯ – ৩-৮-১৯২৮) চুঁচুড়া—হুগলী। ১৮৬৮ খ্রী. এম.এ. ও পরে বি-এল, পাশ করে হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। কিছুদিন পর সরকারী বৃত্তি পেয়ে বিলাত যান। ১৮৭৩ খ্রী. ব্যারিস্টার হয়ে কলিকাতা হাইকোর্টে যোগদান করেন। ১৮৭৩–১৮৭৮ খ্রী. প্রেসিডেন্সী কলেজে মুসলমান আইনের ও ১৮৮৪ খ্রী। ঠাকুর আইনের অধ্যাপক, ১৮৭৮–১৮৮১ খ্রী. কলিকাতার চীফ প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৮৯০ খ্ৰী. কলিকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯০৪ খ্রী. অবসর গ্রহণ করে বিলাতে স্থায়িভাবে বসবাস। শুরু করেন। বিভিন্ন সময়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, হুগলী ইমামবাড়ার সভাপতি, সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মহমেডান অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং ১৯০৯ খ্রী. লণ্ডন প্রিভি কাউন্সিলের প্রথম ভারতীয় সদস্য ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীজীর সত্যাগ্ৰহ আন্দোলন সমর্থন করেছিলেন। মর্লি-মিন্টো শাসনসংস্কারে মুসলমানদের রাজনৈতিক দাবির উপর যে স্বতন্ত্র গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল তার মূল তিনি ছিলেন। মুসলিম লীগের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শের সমর্থক ও লণ্ডন শাখার উৎসাহী কর্মকর্তা ছিলেন। রচিত গ্রন্থাবলী : ‘এ ক্রিটিক্যাল এগজামিনেশন অব দি লাইফ অ্যাণ্ড টিচিংস অব মহম্মদ’, ‘দি স্পিরিট অব ইসলাম’, ‘শর্ট হিস্ট্রি অব দি স্যারাসেনসী, ‘মহমেডান ল’, ‘হিস্ট্রি অব মহামেডান সিভিলাইজেশন ইন ইণ্ডিয়া’ প্রভৃতি।
পূর্ববর্তী:
« আমজাদ হোসেন
« আমজাদ হোসেন
পরবর্তী:
আমীরূজ্জামান শাহ »
আমীরূজ্জামান শাহ »
Leave a Reply