আবদুল্লাহেল কাফী, মওলানা মোহাম্মদ (১৯০০-১৯৬০)। সুলতানপুর-চট্টগ্রাম।। পিতা মওলানা আবদুল হাদী দিনাজপুর জেলার বস্তিআড়া গ্রামে স্থায়িভাবে বাস করতেন। বাল্যে মাতার কাছে উর্দু ও ফারসী এবং পিতার কাছে আরবী ভাষা শেখেন। কলিকাতা মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রবেশিকা পাশ করেন। সেন্টজেভিয়ার্স কলেজে বি.এ. পড়ার সময় (১৯১৯) খিলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ইংরেজী শিক্ষা বর্জন করেন। এই সময় ‘আলহেলালী’ পত্রিকার সম্পাদক মওলানা আবুল কালাম আজাদ তাকে বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক খিলাফত কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকায় পাঠান। পরে কলিকাতায় ফিরে আকরম খাঁ সম্পাদিত খিলাফত কমিটির মুখপত্র উর্দু, দৈনিক পত্রিকা ‘যামানা’র সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন এবং সম্পাদক ও সহ-সম্পাদক গ্রেপ্তার হলে (১৯২১) পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জমঈয়াতে উলামায়ে বাংলার সহকারী সম্পাদক নিযুক্ত হন (১৯২২)। ১৯২৪ খ্রী. নিজে সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সত্যাগ্ৰহী’ প্ৰকাশ করেন। হোসেন শহীদ সুহরাওয়াদীর সহকারিরূপে ইণ্ডিপেণ্ডেণ্ট মুসলিম পার্টির সংগঠন ও প্রচার-কাজে অংশ নেন। ঐ দলের সেক্রেটারীও হয়েছিলেন। কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেবার পূর্ব পর্যন্ত (১৯৩০) সমগ্র বাঙলা দেশে, বিশেষ করে উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব বাঙলায় ব্যাপকভাবে ইসলামী প্রচারকার্য চালান এবং অনেক ঈদগা ও মাদ্রাসা স্থাপন করেন। আইন অমান্য আন্দোলনে বক্তৃতা দেওয়ায় গ্রেপ্তার হন। রংপুর জেলার হারাগাছ বন্দরে অনুষ্ঠিত উত্তরবঙ্গ আহলে হাদীস সম্মেলনে (১৯৩৫) বিশিষ্ট ভূমিকা গ্ৰহণ করেন। দিল্লীতে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত জাতীয়তাবাদী মুসলিম কনফারেন্সে (১৯৪০) এবং নিখিল ভারত আহলে হাদীস সম্মেলনে (১৯৪৪ ও ১৯৪৫) যোগ দেন। ১৯৪২ খ্রী. পবিত্র হজব্ৰত পালন করেন। তার প্রথম মাসিক স্ট্রপত্রিকা ‘তৰ্জমানুল হাদীস ১৯৪৯ খ্ৰী. প্রকাশ করেন। তারই প্রচেষ্টায় ও সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘আরাফাত’ আত্মপ্রকাশ করে (১৯৫৭)। উর্দু ও আরবী:ভাষায় ক্ষুদ্র-বৃহৎ ২৬টি গ্রন্থ রচনা করেন। আবদুল্লাহেল বাকী তাঁর অগ্ৰজ।
পূর্ববর্তী:
« আবদুল্লাহ আল রাকিব
« আবদুল্লাহ আল রাকিব
পরবর্তী:
আবদুল্লাহেল বাঁকী, মওলানা মোহাম্মদ »
আবদুল্লাহেল বাঁকী, মওলানা মোহাম্মদ »
Leave a Reply