আনন্দচন্দ্র রায় (১৮৪৪–১৯৩৫) ফরিদপুর। গৌরসুন্দর। শিক্ষারম্ভ পিতার কর্মস্থল ঢাকায়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ওকলাতি পাশ করে ঢাকায় আইন ব্যবসায় শুরু করেন এবং অল্পকালের মধ্যেই সুনাম অর্জন করেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় এবং ঢাকার নবাব বাহাদুরের বিরুদ্ধাচরণ করায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর হেয়ার সাহেব একটি হত্যা মামলার আসামী হিসাবে তাঁকে অভিযুক্ত করেন। এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি সসম্মানে মুক্তি পান। জনসেবক হিসাবে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির প্রথম বেসরকারী চেয়ারম্যান, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ও পূর্ববঙ্গের জমিদার সঙ্ঘের ৎসাহী সভ্য, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, ঢাকা গন্নাথ কলেজের ট্রাস্টী ও কার্যকরী সমিতির সদস্য এবং ঢাকায় বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক সম্মেলনের (১৯১২) ভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি ছিলেন। স্ত্রী আনন্দময়ীর নামে নিজ গ্রামে একটি স্কুল স্থাপন করেছিলেন। তাকে ঢাকার ‘মুকুটহীন রাজা’ বলা হত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়পনে অন্যতম প্ৰধান উদ্যোগী ছিলেন। আগ্রার প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ও সঙ্গীত-রচয়িতা গোবিন্দ রায় তার অগ্ৰজ।
পূর্ববর্তী:
« আনন্দকৃষ্ণ বসু
« আনন্দকৃষ্ণ বসু
পরবর্তী:
আনন্দচন্দ্ৰ নন্দী »
আনন্দচন্দ্ৰ নন্দী »
Leave a Reply