অবনীচন্দ্র মিত্র, চানুবাবু (জানু, ১৮৮৮—১১.১১.১৯৬৪) রাজবাড়ী–বিক্রমপুর, ঢাকা। অনাদিনাথ। ১৯০৫ খ্রী. শান্তিনিকেতন আশ্রমে ছাত্র হয়ে আসেন। সেখান থেকে যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰ ঘোষ প্রতিষ্ঠিত ‘Advancement of Scientific and industrial Education for Indians’ নামক সংস্থার সাহায্যে ১৯০৬ খ্রী. অপর ১৬ জন ছাত্রের সঙ্গে কারিগরী বিদ্যা শিক্ষার জন্য জাপান যান। সেখানে পেন্সিল, সাবান, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি তৈরির বিদ্যা শেখেন ও ১৯০৮ খ্রী. দেশে ফিরে তিনিই প্রথম কলিকাতায় মায়ের নামে ‘রাজলক্ষ্মী বিস্কুট’ কারখানা খোলেন। বিস্কুট তৈরি, প্যাকিং করা ও দোকানে দোকানে পৌঁছে দেওয়া সবই নিজ হাতে করতেন। কারখানাটি বেশিদিন চলেনি। কিছুদিন সাপ্লায়ারের কাজ করে ভি. এস. ব্রাদার্স কারখানায় (পরবর্তী কালের ব্রিটানিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরী) ১০০ টাকা বেতনে কাজ নেন। ইঞ্জিনিয়ারিং বা স্থপতি-বিদ্যায় প্রথাগত শিক্ষা না পেলেও নিজ প্ৰতিভাবলে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। আচার্য জগদীশচন্দ্র তার ‘বসু বিজ্ঞান মন্দির’ ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি করার জন্য নকশা প্ৰস্তুত ও নির্মাণের দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত করেছিলেন। এই বিজ্ঞান মন্দিরের ভিতরে ও বাহিরে তিনি প্ৰাচীন ভারতের শিল্প-সৌন্দর্যকে অপূর্ব কৌশলে রূপায়িত করেছেন। প্ৰতিষ্ঠানটির পরিচালনার ভারও তার উপর। ছিল। ফলতায় এবং দাৰ্জিলিং-এ বসু বিজ্ঞান মন্দির’-এর গৃহও তীরই পরিকল্পনামত নির্মিত হয়। এ ছাড়া তার নকশা অনুসারে আরও অনেকের বহু গৃহ বিভিন্ন স্থানে তৈরী হয়েছে। ১৯২১ খ্রী. নৃপেন গুপ্তের সঙ্গে মিলে ‘বেঙ্গল বিস্কুট’ কারখানা স্থাপন করেছিলেন। তিনি বিস্কুট তৈরির কলও প্ৰস্তুত করেন। পরে এই কারখানায় সাবান তৈরির কল, চুলের কাটা তৈরির কল প্রভৃতি এবং ১৯৩৫-৩৬ খ্রী. থেকে ইস্পাতের আসবাব তৈরি হতে থাকে। ১৯৪০ খ্রী. কন্যার মৃত্যুতে কারখানাটি বিক্রি করে দেন। সাহিত্যিক মহলেও তিনি পরিচিত ছিলেন। রচিত গ্ৰন্থ: ‘আচাৰ্য জগদীশচন্দ্র ও বসু-বিজ্ঞান মন্দির’।
পূর্ববর্তী:
« অবনী সেন
« অবনী সেন
পরবর্তী:
অবনীনাথ মুখোপাধ্যায় »
অবনীনাথ মুখোপাধ্যায় »
Leave a Reply