বন্দে আলী মিয়া (জানুয়ারি ১৭, ১৯০৬ – জুন ২৭, ১৯৭৯) একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর। তিনি পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে ১৯২৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে কলকাতা আর্ট একাডেমীতে ভর্তি হন এবং ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন। ১৯২৫-এ ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ পর্যন্ত কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দেশ বিভাগের পর তিনি কলকাতা জীবনে রবীন্দ্র-নজরুলের সান্নিধ্য লাভ করেন। তখন তাঁর প্রায় ২০০ খানা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। সে সময় বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানীতে তাঁর রচিত পালাগান ও নাটিকা রের্কড আকারে কলকাতার বাজারে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৬৪-র পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন। তিনি তাঁর কবিতায় পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুন্যের পরিচয় প্রদান করেছেন। প্রকৃতির রূপ বর্ণনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ আজও অমর হয়ে আছে।
গ্রন্থসমূহ
ময়নামতির চর
অরণ্য
গোধূলী
ঝড়ের সংকেত
নীড়ভ্রষ্ট
জীবনের দিনগুলো
অনুরাগ
কাব্যগ্রন্থ
ময়নামতির চর(১৯৩২)
অনুরাগ(১৯৩২)।
শিশুতোষ গ্রন্থ
চোর জামাই(১৯২৭)
মেঘকুমারী(১৯৩২)
মৃগপরী(১৯৩৭)
বোকা জামাই(১৯৩৭)
কামাল আতার্তুক(১৯৪০)
ডাইনী বউ(১৯৫৯)
রূপকথা(১৯৬০)
কুঁচবরণ কন্যা(১৯৬০)
ছোটদের নজরুল(১৯৬০)
শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা(১৯৬৩)।
সম্মাননা
শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার লাভ করেন। তিনি মরণোত্তর একুশে পদক এ ভূষিত হন।
সূত্র: ৪
Leave a Reply