বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ (জন্ম: ১৯০৮; মৃত্যু:১০ এপ্রিল ১৯৬৪) ছিলেন এ দেশের নারী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবিকা ৷ মুসলমান সমাজে নারী শিক্ষা প্রসার ও অবরোধপ্রথা রহিত করার জন্য যাঁরা জীবন উত্সর্গ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে তাঁর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷
জন্ম ও শিক্ষা
শামসুন নাহার ১৯০৮ সালের বাংলাদেশের বর্তমান ফেনী জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন পিতৃহীনা। চট্টগ্রামের তামাগুমন্ডিস্থ নানা খান বাহাদুর আবদুল আজিজের বাড়িতে মা ও ভাই হবীবুল্লাহ বাহারের সাথে বড় হন। তিনি লেখা পড়া করেন ডাক্তার খাস্তগীর স্কুলে। তার স্বামী ছিলেন ডাঃ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ১৯৩২ সালে শামসুন নাহার বিএ পাশ করেন, তখন বেগম রোকেয়া এ উপলক্ষে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। দশবছর পর ১৯৪২ সালের তিনি এমএ পাশ করেন।
কর্মজীবন
শামসুন নাহার কিছুদিন নিখিল বঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতির সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তুরস্ক ও মধ্য-প্রাচ্য ভ্রমন করেন। কলম্বোতে ইন্টারন্যাশন্যাল কাউন্সিল অব ওমেন-এ তিনি একটি দলের নেতৃত্ব দেন। সমগ্র এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ অর্গানাইজেশনে যোগ দেন। ১৯৬২ তে তিনি গনপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
সাহিত্য চর্চা
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাথে শামসুন নাহার মাহমুদ ও তার ভাই হবীবুল্লাহ বাহারের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।কলকাতা থাকাকালীন শামসুন নাহার কবি কর্তৃক অনুপ্রানিত হয়ে লেখা শুরু করেন। তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়, আঙ্গুর পত্রিকায়। আইএ পড়বার সময় থেকেই তিনি নওরোজ ও আত্মশক্তি পত্রিকার নারী বিষয়ক অংশের সম্পাদকের কাজ করেন।
রচিত গ্রন্থ
পূন্যময়ী,
ফুলবাগিচা;
বেগম মহল;
রোকেয়া জীবনী;
শিশুর শিক্ষা;
আমার দেখা তুরস্ক;
নজরুলকে যেমন দেখেছি।
সূত্র: ৪
Leave a Reply