ক্ষিতিমোহন সেন (২.১২.১৮৮০ – ১২.৩.১৯৬০)। ভুবনমোহন। পৈতৃক নিবাস সোনারং—ঢাকা। জন্ম কাশীতে। কাশী কুইন্স কলেজ থেকে সংস্কৃতে এম-এ পাশ করে চম্বারাজ্যের শিক্ষাবিভাগে যোগ দেন। ১৯০৮ খ্রী. রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে বিশ্বভারতীর ব্ৰহ্মচর্যাশ্রমে যোগদান করেন ও বিশ্বভারতী বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষরূপে কৰ্মজীবন শেষ করেন। কিছুদিন বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচাৰ্য-পদেও আসীন ছিলেন। সন্তদের বাণী, বাউল সঙ্গীত এবং সাধনতত্ত্ব সংগ্রহে তার কৃতিত্ব বিশেষভাবে স্মরণীয়। প্ৰায় পঞ্চাশ বছরের সাধনার ফলে সংগৃহীত বিষয়সমূহ কয়েকটি গ্রন্থে তিনি অন্তর্ভুক্ত করে প্রকাশ করেন। রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত ‘One Hundred Poems of Kabir’ গ্রন্থটিও তাঁর সংগ্রহ অবলম্বনে রচিত (১৯১৪)। ১৯২৪ খ্রী. রবীন্দ্রনাথের চীন ভ্রমণের সহযাত্রী ছিলেন। তার রচিত ‘Hinduism’ গ্রন্থটি ফরাসী, জার্মান ও ডাচ ভাষায় এবং অপর কয়েকটি গ্রন্থ হিন্দী, গুজরাটী ও অসমীয়া ভাষায় অনুদিত হয়েছে। এখনও বহু সংগ্রহ ও প্ৰবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নি। ‘কবীর’ (৪ খণ্ড), ‘ভারতীয় মধ্যযুগের সাধনার ধারা’, ‘দাদু’, ‘ভারতের সংস্কৃতি’, ‘বাংলার সাধনা’, ‘জাতিভেদ’, ‘হিন্দু মুসলমানের যুক্তসাধনা’, ‘প্রাচীন ভারতে নারী’, ‘যুগগুরু রামমোহন’, ‘বলাকা কাব্য পরিক্রমা’, ‘বাংলার বাউল, ‘চিন্ময় বঙ্গ’, ‘Medieval Mysticism of India’ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্ৰন্থ। ১৯৫২ খ্রী. বিশ্বভারতীর প্রথম ‘দেশিকোত্তম’ উপাধি এবং হিন্দীচর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ সর্বভারতীয় সম্মান লাভ করেন। সুরসিক, সুবক্তা এবং সু-অভিনেতা হিসাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« কৌকব খাঁ
« কৌকব খাঁ
পরবর্তী:
ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার »
ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার »
Leave a Reply