মলয় রায়চৌধুরী (জন্ম ২৯ অক্টোবর ১৯৩৯ – ) [Malay Roychoudhury] বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সর্বোপরি হাংরি আন্দোলন –Hungryalism– তথা বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জনক। আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাসে তিনি এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। প্রচণ্ড বৈদুতিক ছুতার কবিতাটির জন্য গ্রেফতার ও কারাবরণ করেন। শয়তানের মুখ, জখম, ডুব জলে যেটুকু প্রশ্বাস,নামগন্ধ চিৎকার সমগ্র,কৌণপের লুচিমাংস অ্যালেন গিন্সবার্গের ক্যাডিশ গ্রন্থের অনুবাদ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। স্বপ্ন পত্রিকায় লিখিত প্রবন্ধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন যে, ‘সাহিত্যের সনাতন অনুশাসনগুলির বিরুদ্ধে মলয় রায়চৌধুরীর বিদ্রোহ তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য’।
পারিবারিক পরিচয়
সুতানুটি-গোবিন্দপুর-কলিকাতা খ্যাত সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের উত্তরপাড়া শাখার সন্তান । পিতা রজ্ঞিত রায়চৌধুরী ছিলেন চিত্রশিল্পী-ফোটোগ্রাফার । মা অমিতা ছিলেন পাণিহাটিস্থিত নীলামবাটির কিশোরীমোহোন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (রোনাল্ড রস-এর সহায়ক) জ্যেষ্ঠ কন্যা ।কলকাতার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিষদ কর্তৃক সংরক্ষিত সংগ্রহশালার (মিউজিয়াম) তথ্য অনুযায়ী মলয় রায়চৌধুরীর ঠাকুর্দা লক্ষীনারায়ণ ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম ভ্রাম্যমান ফোটোগ্রাফার-আর্টিস্ট ।
শিক্ষা এবং কর্মজীবন
পাটনার সেইন্ট জোসেফ কনভেন্টে প্রাথমিক এবং রামমোহন রায় সেমিনারিতে ম্যাট্রিকুলেশানের পর অথ্রনীতিতে সাম্মানিক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর, এবং গ্রমীণ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ রূপে প্রশিক্ষনের পর প্রথমে রিজার্ভ ব্যাংক ও তারপর এঅরডিসি এবং নাবার্ডে গ্রামীণ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের উচ্চপদে ভারতের বিভিন্ন শহরে ১৯৯৭ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন ।যুগশঙ্খ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের রিডার ড. শঙ্কর ভট্টাচার্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন যে মলয় রায়চৌধুরী সমগ্র জীবন ভারতের চাষি, তাঁতি, জেলে ও হস্তশিল্পীদের মাঝে কাটিয়ে প্রভূত অভিজ্ঞতা লাভ করেন, এবং তা তাঁর সাহিত্যকর্মে গভীর প্রভাব ফেলেছে ।
হাংরি আন্দোলন
১৯৬১ সালে দাদা সমীর রায়চৌধুরী, শক্তি চট্টোপাধ্যায় এবং হারাধন ধাড়ার (দেবী রায় ) সঙ্গে হাংরি আন্দোলন আরম্ভ করে আবির্ভাবেই সাড়া ফেলে দেন । তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় প্রায় চল্লিশজন কবি, লেখক ও চিত্রশিল্পী এই আন্দোলনে যোগ দেন, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিনয় মযুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উৎপলকুমার বসু, সুবিমল বসাক, বাসুদেব দাশগুপ্ত, ফালগুনী রায়, অনিল করঞ্জাই, রবীন্দ্র গুহ প্রমুখ । এই আন্দোলনের মুখপত্র হিসাবে এক পাতার বুলেটিন প্রকাশ করা হতো । ১০৮টি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, যার মাত্র কয়েকটি ‘লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি’ এবং ঢাকা বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষণ করা গেছে । ১৯৬৫ পর্যন্ত এই আন্দোলন পুরোদমে চলেছিল; বিখ্যাত হাংরি মকদ্দমার পর তা ভেঙে যায় ।
প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার
১৯৬৪ সালে হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত ‘প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার’ কবিতাটির জন্য মলয় অশ্লীলতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন এবং ৩৫ মাসব্যাপী কোর্ট কেস চলে । কলকাতার নিম্ন আদালতে সাজা ঘোষণা হলেও, ১৯৬৭ সালে উচ্চ আদালতে অভিযোগমুক্ত হন । মলায়ের পক্ষে সাক্ষী ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, তরুন সান্যাল, জ্যোতির্ময় দত্ত এবং সত্রাজিত দত্ত । মলয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শৈলেশ্বর ঘোষ, সুভাষ ঘোষ, পবিত্র বল্লভ, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় এবং উৎপলকুমার বসু । মকদ্দমা চলাকালীন মলয়ের খ্যাতি আমেরিকা ও ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে, এবং বিভিন্ন ভাষায় এই কবিতাটি অনুদিত হয় । ৪৫ বছর পরও কবিতাটি নিয়ে বিতর্ক কবিতাটিকে জীবন্ত রেখেছে, এবং এম ফিল ও পি এইচ ডি গবেষণার বিষয়বস্তু হয়েছে । গবেষণা করেছেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক কুমারবিষ্ণু দে ও রবীন্দ্রভারতী থেকে অধ্যাপিকা স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় । ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ‘Modern And Postmodern Poetry Of The Millenium’ সংকলনে দক্ষিণ এশিয়া থেকে অন্তর্ভূক্ত এইটিই একমাত্র কবিতা বলে ভূমিকায় জানিয়েছেন সম্পাদক জেরোম রোদেনবার্গ।
সাহিত্যকর্ম
মলয় রায়চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্হ শয়তানের মুখ ১৯৬৩ সালে কৃত্তিবাস প্রকাশনী ধেকে প্রকাশিত হয়েছিল । পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে গ্রন্হটিকে একটি জলবিভাজক বলে মনে করা হয় । মলয় তাঁর প্রতিটি কাব্যগ্রন্হে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার কবিতার জনকরূপে বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্হান করে নিয়েছেন । তাঁর কবিতা বাংলাসাহিত্যের সনাতন ঐতিহ্যকে, নিয়মানুবর্তিতাকে, আমূল নাড়া দিয়েছিল । কবিতার ভাষায়, ছন্দে, অলংকারে, চিত্রকল্পে তুমূল ভাংচুর পাঠকের অভ্যস্ত চোখ ও কানকে বিব্রত করেছিল । যৌনতার সংগে তিনি এনেছিলেন ব্যঙ্গ, আত্মপরিহাস ও অসহায় মানুষের নিষগফলতার যন্ত্রণা । উপন্যাস ও ছোটগল্পে তিনি নিজস্ব গদ্য সৃষ্টি করেছেন, এবং তাঁর প্রবন্ধকে আপোষহীন বলে মনে করা হয় । তাঁর নাটক তিনটিকে বলা হয়েছে উত্তরাধুনিক, যদিও সেগুলি হাংরি আন্দোলন-এর সময়ে লেখা । তাঁর প্রবন্ধ ও পোলেমিক্সগুলি থেকে স্পষ্ট হয় কেন তাঁকে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার জনক বলা হয় । মলব যাঁদের কাজ অনুবাদ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন উইলিয়াম ব্লেক, জাঁ ককতো, সালভাদোর দালি, পল গঁগা, ব্লাইজি সঁদরা, ত্রিস্তান জারা, অ্যালেন গিন্সবার্গ, লরেন্স ফেরলিংঘেট্টি, পাবলো নেরুদা এবং ফেদেরিকো গারথিয়া লোরকা ।মলয় গ্রন্হে সম্পাদক মুর্শিদ এ. এম. ভূমিকায় জানিয়েছেন যে নব্বুই দশকের পর রচিত তাঁর সাহিত্যকর্মকে বলা হয়েছে অধুনান্তিক ।
সাহিত্যধারা
মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য হল যে সেগুলো মুক্ত-সূচনা ও মুক্ত-সমাপ্তি দ্বারা চিহ্নিত; এবং তা বহুমাত্রিক. আঠ্গিক-ভাঙা, ঘটমান, যুক্তির কেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত, কেন্দ্রাতিগ, অফুরন্ত অর্থময়, সংকরায়িত, রাইজোম্যাটিক. অপরিমেয়, ভঙ্গুর বাকপ্রতিমায় আপ্লুত, একাধিক বার্তাবহ এবং ক্যানন-অতিক্রমী ।উত্তরপ্রবাসী পত্রিকার হাংরি আন্দোলন সংখ্যায় অধ্যাপক নন্দলাল শর্মা জানিয়েছেন যে, স্বয়ংসম্পূর্ণ শিল্পবস্তু বা ‘আর্ট ফর আর্ট সেক’-এর ঔপনিবেশিক তত্বকে বর্জন করার কথা বলেছেন মলয়, যা বাংলা সাহিত্যে তাঁর পূর্বে কেউ বলেননি ।
পুরস্কার
২০০৩ সালে অনুবাদের জন্য দেয়া সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার সহ বহু লিটল ম্যাগাজিন পুরস্কার সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন ।
বইয়ের তালিকা
মার্কসবাদের উত্তরাধিকার (প্রবন্ধ ), প্রথম প্রকাশ ১৯৬২, প্রকাশক: শক্তি চট্তোপাধ্যায়, কলকাতা ।
শয়তানের মুখ (কবিতা ), প্রথম প্রকাশ ১৯৬৩, প্রকাশক : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কৃত্তীবাস প্রকাশনী, ৩২/২ যোগীপাড়া রোড, কলকাতা-২৮
আমার জেনারেশনের কাব্যদর্শন বা মৃত্যুমেধীশাস্ত্র ( প্রবন্ধ ), প্রথম প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯৬৪, প্রকাশক: জেব্রা প্রকাশনী/হাংরি প্রিন্টার্স, কলকাতা ।
জখম (দীর্ঘ কবিতা), প্রথম প্রকাশ ৯জুন ১৯৬৫ । পকাশক: জাব্রা প্রকাশনী । দ্বিতীয় সংস্করণ জানুয়ারি ১৯৯৮ । প্রকাশক: উৎপল ভট্টাচার্য, কবিতীর্থ, ৫০/৩ কবিতীর্থ সরণী, কলকাতা ৭০০০২৩ ।
আমার আমীমাংসিত শুভা (দীর্ঘ কবিতা), প্রথম প্রকাশ ১৩ মাঘ ১৩৭১ । প্রকাশক- জেব্রা প্রকাশনী/হাংরি প্রিন্টার্স, কলকাতা
ইস্তাহার সংকলন (হাংরি ম্যানিফেসটো, হাংরি আন্দোলনের সময়ে বিভিন্ন বুলেটিনে প্রকাশিত ইস্তাহার ) । প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ১ জানুয়ারি ১৯৮৫
কবিতা সংকলন (আংরি আন্দোলনকালীন ২৬টি কবিতার সংকলন) । প্রথম প্রকাশ: বইমেলা, জানুয়ারি ১৯৮৬ । প্রকাশক: মহাদিগন্ত প্রকাশ সংস্হা, কলকাতা ।
মেধার বাতানুকুল ঘুঙুর (কবিতা) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৭ ্র প্রকাশক: মহাদিগন্ত প্রকাশ সংস্হা, কলকাতা ।
হাততালি (দীর্ঘ কবিতা) । প্রথম প্রকাশ কৌরব পত্রিকায় ১৯৮৯, গ্রন্হাকারে প্রকাশ ১৯৯১ । প্রকাশক: মহাদিগন্ত প্রকাশ সংস্হা, কলকাতা
চিৎকারসমগ্র ( পোস্টমডার্ন কবিতা) । প্রথম প্রকাশ মে ১৯৯৫ । প্রকাশক: কবিতা পাক্ষিক, ৩৬ডি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০২৬ ।
‘ছত্রখান’ (অধুনান্তিক কবিতা) । প্রথম প্রকাশ: নভেম্বর ১৯৯৫ । প্রকাশক: কবিতীর্থ, ৫০/৩ কবিতীর্থ সরণি, কলকাতা ২৩ ।
‘যা কাগবে বলবেন’ (কবিতা) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৬ । প্রকাশক: কৌরব প্রকাশনী, ২৫এ এগ্রিকো বাগান, জামশেদপুর ৯ ।
‘অ’ (কবিতা ও তার অবিনির্মাণ) । নিজের লেখা ২৩টি কবিতার বিশ্লেষণ । প্রথম প্রকাশ: বিমেলা ১৯৯৮ । প্রকাশক: কবিতা পাক্ষিক, ৩৬ডি হরিশ চ্যাটার্জি স্ত্রিট, কলকাতা ২৬ ।
‘আত্মদ্ধংসের সহস্রাব্দ’ (কবিতা) । প্রথম প্রকাশ: ২০০০ । প্রকাশক: গ্রাফিত্তি, ২এ টিপু সুলতান রোড, কলকাতা-২৬ ।
‘প্রকাশ কর্মকারের ছবি মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা’ । (বারোটি বুলেটিন) । ১৯৮৫-৮৭ এর মাঝে লখনউ থেকে প্রকাশিত ।
‘ভেন্নগল্প’ (পোস্টমডার্ন গল্প সংকলন) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৬ । প্রকাশক: দিবারাত্রির কাব্য, চম্পাহাটি, দক্ষিণ ২৪ পরগণা
‘ডুবজলে যেটুকু প্রশ্বাস’ (উপন্যাস) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৪, দ্বিতীয় সংস্করণ: ২০০১ । প্রকাশক: আবিষ্কার প্রকাশনী, বাঁশদ্রোণী, কলকাতা -৭০
‘জলাঞ্জলি’ (উপন্যাস) । প্রথম প্রকাশ; ১৯৯৭ । প্রকাশক: একালের রক্তকরবী, ১০/২বি রমানাথ মজুমদার স্ত্রিট, কলকাতা ৭০০০০৯
‘নামগন্ধ’ (উপন্যাস) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৯ । প্রকাশক: সাহানা, ৩/৩ লালমাটিয়া, ব্লক বি, ঢাকা ১২০৭, বাংলাদেশ ।
‘নাটকসমগ্র’ (হাংরি আন্দোলনের সময়ে লেখা ) । সম্পাদনা: উৎপল ভট্টাচার্য । প্রথম প্রকাশ: আশ্বিন ১৩০৫ । প্রকাশক: কবিতীর্থ, কবিতীর্থ সরণি, কলকাতা – ২৩ ।
‘হাংরি কিম্বদন্তী’ ( স্মৃতিকথা ) । প্রথঞ প্রকাশ: ১৯৯৪ । প্রকাশক: সমীর রায়চৌথূরী, বাঁশদ্রোণী, কলকাতা – ৭০০০৭০ ।
‘পোস্টমডার্নিজম’ (প্রবন্ধ ) । প্রথম প্রকাশ: ১৯৯৫ । প্রকাশক: হাওয়া ৪৯, বাঁশদ্রোণী, কলকাতা – ৭০০০৭০ ।
‘পরাবাস্তববাদ’ (প্রবন্ধ ) । প্রথম প্রকাশ ১৯৯৭ । প্রকাশক: এবং প্রকাশনী, নাকতলা, কলকাতা ৭০০০৪৭ ।
‘আধুনিকতার বিরুদ্ধে কথাবাপ্রা’ (প্রবন্ধ সংকলন ) । প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ১৯৯৯ । প্রকাশক: কবিতা পাক্ষিক, কলকাতা ৭০০০২৬ ।
‘মতান্তর’ (প্রবন্ধ সংকলন) । সম্পাদনা: শংকর সরকার । ভূমিকা: অদ্রীশ বিশ্বাস । প্রথম প্রকাশ: বইমেলা ২০০০ । প্রকাশক: অতএব প্রকাশনী, নিমতা, কলকাতা ৭০০০৪৯
‘হাংএই সাক্ষাৎকারমালা’ । অজিত রায় সম্পাদিত । প্রথম প্রকাশ: এপ্রিল ১৯৯৯ । প্রকাশক: মহাদিগন্ত পাবলিশার্স, কলকাতা ৭০০ ১৪৪ ।
‘পোস্টমডার্ন কালখন্ড ও বাঙালির পতন’ (প্রবন্ধ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০০ । প্রকাশক: সুকুমার চৌধুরী, বসন্ত বিহার, ওয়াডি, নাঘপুর ।
‘উত্তরওপনিবেশিক পোস্টমডার্নিজম’ (প্রবন্ধ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০১ । প্রকাশক: বাকপ্রতিমা, মহিষাদল, মেদিনীপুর ।
‘এই অধম ওই অধম’ (উপন্যাস ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০১ । প্রকাশক: কবিতীর্থ, ৫০/৩ কবিতীর্থ প্রকাশনী, কলকাতা ৭০০০২৩ ।
‘নখদন্ত’ (সাতকাহন ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০২ । প্রকাশক: হাওয়া উণপঞ্চাশ, কলকাতা ৭০০০৭০ ।
‘ডাডা ইস্তেহার ও তার ভুমিকা’ (ত্রিস্তান জারা লিখিত ইশতাহার )। প্রথম প্রকাশ: ২০০২ । প্রকাশক: গ্রাফিত্তি, টিপু সুলতান রোড, কলকাতা ৭০০০২৬ ।
‘কৌনপের লুচিমাংস’ (কবিতা সংকলন ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০৩ । প্রকাশক: কবিতা ক্যাম্পাস, হাওড়া ।
‘পোসটমডার্ন জীবনানন্দ’ (প্রবন্ধ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০৩ । প্রকাশক: গ্রাফিত্তি, কলকাতা ৭০০০২৬ ।
‘প্রতিস্ব পরিসরের অবিনির্মাণ ‘ (নিজের নেয়া নিজের সাক্ষাৎকার ) । প্রথম প্রকাশ; ২০০৪ । প্রকাশক: দাহপত্র, চন্দননগর, হুগলি জেলা ।
‘বিষয় পোস্টমডার্নিটি’ (সাক্ষাৎকার সংকলন ) সম্পাদনা ও ভূমিকা: অরবিন্দ প্রধান । প্রথম প্রকাশ: ২০০৪ । প্রকাশক: গ্রাফিত্তি, কলকাতা ৭০০০২৬ ।
‘ছোটলোকের ছোটবেলা’ (বাল্যস্মৃতি ) । প্রথম প্রকাশ; ২০০৪ । প্রকাশক: কোয়ার্ক, কলকাতা ৭০০০৭৪ ।
‘কবিতা ২০০৪_১৯৬১’ ( সব কয়টি কবিতা একত্রে ) । প্রথম প্রকাশ: ২০০৫ । প্রকাশক: আবিষ্কার প্রকাশনী, বাঁশদ্রোনী, কলকাতা ৭০০০৭০ ।
‘আপ্রকাশিত ছোটগল্প’ (গল্প সংকলন ) প্রথম প্রকাশ: ২০০৬ । প্রকাশক; কোয়ার্ক, সিদ্ধিনাথ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৩৪ ।
‘হাংরি আন্দোলনের ইশতাহার’ । এবাদুল হক সম্পাদিত । প্রথম প্রকাশ: ২০০৭ । প্রকাশক: আবার এসেছি ফিরে প্রকাশনী, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ ।
‘অতিবাস্তব গল্পগাছা’ ( অধুনান্তিক রূপকথা ) । প্রথম প্রকাশ : মে ২০০৮ । প্রকাশক : আবার এসেছি ফিরে প্রকাশনী, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ ।
——————
সূত্রঃ ৪
Leave a Reply