মহাশ্বেতা দেবী একজন ভারতীয় বাঙালি লেখিকা । তিনি ১৯২৬ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন । তিনি মূলত সাঁওতাল ইত্যাদি উপজাতিদের উপর কাজ এবং লেখার জন্য বিখ্যাত । ইনি জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার পেয়েছেন । তার লেখা শতাধিক বইয়ের মধ্যে ‘হাজার চুরাশির মা’ অন্যতম। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০৭ সালে তিনি সার্ক সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।
জীবন
মহাশ্বেতা দেবী একটি মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলেন । তাঁর পিতা মনীশ ঘটক ছিলেন কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং তাঁর কাকা ছিলেন বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটক ।
মহাশ্বেতা দেবী শিক্ষালাভের জন্য শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন । তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন । পরে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজীতে এম এ ডিগ্রী লাভ করেন ।
কর্মজীবন
১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে তিনি বিজয়গড় কলেজে পড়াতে আরম্ভ করেন । এই সময়েই তিনি একজন সাংবাদিক এবং লেখিকা হিসাবে কাজ করেন । পরবর্তীকালে তিনি বিখ্যাত হন মূলত পশ্চিমবাংলার উপজাতি এবং মেয়েদের উপর তাঁর কাজের জন্য । তিনি বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন উপজাতি এবং মেয়েদের উপর শোষন এবং বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন । সাম্প্রতিক কিছু সময়ে মহাশ্বেতা দেবী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্পনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন । সরকারের বিপুল পরিমানে কৃষিজমির অধিগ্রহন এবং স্বল্পমূল্যে তা শিল্পপতিদের কাছে বিতরনের তিনি কড়া সমালোচক । এছাড়া তিনি শান্তিনিকেতনে প্রোমোটারি ব্যবসার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছেন ।
গ্রন্থ তালিকাঃ
অরণ্যের অধিকার
নৈঋতে মেঘ
অগ্নিগর্ভ
গণেশ মহিমা
হাজার চুরাশীর মা
চোট্টি মুণ্ডা এবং তার তীর
শালগিরার ডাকে
নীলছবি
বন্দোবস্তী
আই.পি.সি ৩৭৫
সাম্প্রতিক
প্রতি চুয়ান্ন মিনিটে
মুখ
কৃষ্ণা দ্বাদশী
৬ই ডিসেম্বরের পর
বেনে বৌ
মিলুর জন্য
ঘোরানো সিঁড়ি
স্তনদায়িনী
লায়লী আশমানের আয়না
আঁধার মানিক
যাবজ্জীবন
শিকার পর্ব
অগ্নিগর্ভ
ব্রেস্ট গিভার
ডাস্ট অন দ্য রোড
আওয়ার নন-ভেজ কাউ
বাসাই টুডু
তিতু মীর
রুদালী
উনত্রিশ নম্বর ধারার আসামী
প্রস্থানপর্ব
ব্যাধখন্ড
পুরষ্কারঃ
পদ্মবিভূষণ (ভারত সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক পুরষ্কার ২০০৬)
রামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার (১৯৯৭)
জ্ঞানপীঠ পুরষ্কার (সাহিত্য একাডেমির সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান)
সার্ক সাহিত্য পুরষ্কার (২০০৭)
সূত্রঃ ৪
Leave a Reply