উৎপলকুমার বসু (জন্ম আগস্ট ৩, ১৯৩৯ ) বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলন এর একজন খ্যাতনামা কবি । ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবি হিসাবে পরিচিত ছিলেন ।
হাংরি আন্দোলন
সমীর রায়চৌধুরীর কলেজ – জীবনের বন্ধু উৎপল ১৯৬১ সালে হাংরি আন্দোলন এর সূত্রপাত ঘটতেই তাতে যোগ দেন, এবং তাঁর কবিতা রচনার ধারায় বাঁকবদল ঘটে । হাংরি আন্দোলন এর কারণে ১৯৬৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল । সেকারণে তিনি যোগমায়া দেবী কলেজের অধ্যাপনা থেকে বরখাস্ত হন । ১৯৬৫ সালে অভিমানাহত উৎপল লন্ডনে গিয়ে বসবাস আরম্ভ করেন । সেখানে তিনি শিক্ষকতা করতেন । লন্ডনে বসবাসকালে তিনি বিবাহ করেন এবং কবিতা লেখা থেকে সাময়িক বিরতি নেন ।
সাহিত্যধারা
দুই দশক পর কলকাতায় ফিরে উৎপলকুমার বসু পুনরায় কবিতা লেখা আরম্ভ করেন । তাঁর সমসাময়িক, এমনকি তরুণতর কবিদের তুলনায় তাঁর কবিতা ছিল সম্পূর্ণ নূতন ।নিরাসক্ত ও নোর্লিপ্তভাবে বস্তুস্বভাবের যথাযথ বর্ণনা তাঁর কবিতার মুখ্য বৈশিষ্ট্য । বস্তুর অভ্যন্তর সত্যের অভিমুখে কবিতাকে চালনা করেছেন উৎপল । তাঁর চারপাশে ছড়িয়ে থাকা জীবন প্রকৃতি কোনো রহস্যভূমি রচনা না করেই তাঁর কবিতে মেলে ধরে বর্তমান সমাজবাস্তবতা । উৎপলকুমার বসু বহুলব্যবহৃত শব্দগুলোকে কবিতার শরীরে এমনভাবে স্হাপন করেছেন যে তার ফলে তৈরি হয়েছে বাক্যের নূতন মাত্রা । অনেকে অবশ্য বলেন তাঁর কবিতা ‘আকারসর্বস্ব ।
কাব্যগ্রন্হ
চৈত্রে রচিত কবিতা (১৯৬১)
পুরী সিরিজ (১৯৬৪)
আবার পুরী সিরিজ (১৯৭৮)
লোচনদাস কারিগর (১৯৮২)
খণ্ডবৈচিত্রের দিন (১৯৮৬)
শ্রেষ্ঠ কবিতা ( ১৯৯১)
সলমাজরির কাজ (১৯৯৫)
পদ্যসংগ্রহ (১৯৯৬ )
কবিতাসংগ্রহ (১৯৯৬)
কহবতীর নাচ (১৯৯৭)
নাইট স্কুল (১৯৯৯)
টুসু আমার চিন্তামণি (২০০০)
————————-
সূত্রঃ ৪
Leave a Reply