অরুন্ধতী দেবী (১৯২৫ – ১৬.১০.১৯৯০) গাভা–বরিশাল (বাংলাদেশ)। বিভুচরণ গুহঠাকুরতা। বিশিষ্ট চলচ্চিত্ৰাভিনেত্রী, চিত্রপরিচালিকা ও রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তার শৈশব কাটে ঢাকায়। সেখানে নিত্যগোপাল বর্মণের কাছে ও কলকাতায় এসে সুরসাগর হিমাংশু। দত্তের কাছে গান শিখেছিলেন। বিশ্বভারতীর ছাত্রী। সেখানে সংগীত বিভাগে বিশেষ কৃতিত্বের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েট হন। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশ করেন। নাচ শিখেছিলেন গুরু ব্ৰজবাসী ও বালকৃষ্ণ মেননের কাছে। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের তত্ত্বাবধানে একবার ‘মায়ার খেলা’ নৃত্যনাট্যে তিনি অংশগ্রহণ করেন। একসময় কলকাতা আকাশবাণী থেকে তিনি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করতেন। গানের জগতে প্রথম রেকর্ড ‘পথে যেতে যেতে, তারপর ‘আকাশতলে দলে দলে’, ‘ওগো আমার অচেনা’। ১৯৫২ খ্রি. নিউ থিয়েটার্সের ‘মহাপ্ৰস্থানের পথে’ ছবিতে তার প্রথম আত্মপ্ৰকাশ। ৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনেত্রী হিসাবে তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য, ‘ছেলে কার’ (১৯৫৪ খ্রি. জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত), ‘ভগিনী নিবেদিতা’ (রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত), ‘চলাচল’, ‘পঞ্চতপা’, ‘বিন্দের বন্দী’, ‘ক্ষুদিত পাষাণ’ প্রভৃতি। অভিনয় ছেড়ে ক্ৰমে তিনি চিত্রপরিচালনার ক্ষেত্রে চলে আসেন। তার পরিচালিত ছবি: ‘ছুটি’ (১৯৬৬ খ্রি. রাষ্ট্রীয় রৌপ্যপদকপ্রাপ্ত), ‘মেঘ ও রৌদ্র’, ‘পদিপিসির বর্মীবাক্স’, ‘দীপার প্ৰেম’ ৷ ‘গোকুল’ নামে একটি টেলিফিল্মও করেছিলেন। কয়েকবার তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু গান, কবিতা ও প্ৰবন্ধ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। দিল্লি ও বম্বের বিদগ্ধজনের কাছে তা সমাদৃত হয়। বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক তপন সিংহ তার স্বামী।
পূর্ববর্তী:
« অরুণাচল বসু
« অরুণাচল বসু
পরবর্তী:
অর্ধেন্দু দস্তিদার »
অর্ধেন্দু দস্তিদার »
Leave a Reply