বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউস, অনেকের স্মৃতি আটকে আছে ঐতিহাসিক ভবনটির মলিন দেয়ালে। কীর্তিমান মানুষদের মুখচ্ছবি ধারণ করেছি এর ভেতরে ও বাইরে। বহুজনের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়েছে এখানে গত ৪০ বছর, যাদের চেহারার ইতিহাসের কিছু অংশ ধরতে পেরেছি আমি ও আমার ক্যামেরা। প্রতিবছর বইমেলার সময় সাক্ষাৎ ঘটে বাংলাদেশের বিবিধ প্রান্তর থেকে আসা বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। যখন মেলা শেষ হয়ে যায় বা অফিস খোলা থাকে না, তখন একা বিষণ্ন ভবনটি যেন দাঁড়িয়ে থাকে। এখানে এখন কেউ বসবাস করে না।
একসময় বর্ধমান হাউসে বসবাস করতেন আমাদের জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেন। তখন এটি ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। অধ্যাপনা সূত্রে কাজী সাহেব থাকতেন বর্ধমান হাউসে। ঐতিহাসিক এই ভবনে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন। থেকেছেন। সেসব ঘটনা আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ আছে।
আমার আলোকচিত্র গ্রহণের প্রাথমিক দিনগুলোতে কয়েকবার কাজী সাহেবের ১১৩ নম্বর সেগুনবাগিচার বাড়িতে ছবি তুলতে যাই। নিরহংকার এই মানুষটির মুখাবয়বের শতাধিক ভঙ্গি ক্যামেরায় বন্দী করেছি। সংখ্যাতত্ত্বের বিজ্ঞানমনস্ক খ্যাতিমান ব্যক্তিটি আমাদের সংস্কৃতির এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তিনি অবদান রেখে যাননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ তাঁরই হাতে গড়া। আমরা স্ট্যাটিসটিকসের আভিধানিক বাংলা করি ‘পরিসংখ্যান’, কিন্তু তিনি এর নতুন নামকরণ করেন ‘সংখ্যাগণিত’। দাবা খেলায় দেশব্যাপী তাঁর এখনো সুনাম আছে। প্রায়ই দাবা খেলতেন একা। নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হতেন।
১৯৭৪ সালে যখন প্রথম তাঁর ছবি তুলতে গেলাম, বারান্দায় বসে ছিলেন একা। ছবি তুললাম। আমি কথা বলতে চাইলাম, তিনি কোনো কথা বললেন না, ঘরে ঢুকে পড়লেন। দাবায় বসে গেলেন। তিনি ভালো মতো কানে শুনতেন না, এটা আমার জানা ছিল না। ঘরে কাউকে দেখতে না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছি, ইশারা দিলেন জাতীয় অধ্যাপক। বেশ ভয়ে বসলাম তার মুখোমুখি। জানতে চাইলেন, দাবা খেলতে জানি কি না। মাথা নাড়ালাম, জানি না। একটা সরল হাসি কাজী সাহেবের। গেছি ছবি তুলতে। তাঁকে বললাম, জানালার পাশে বসলে আলো এসে পড়বে মুখে, আমার ছবি তোলায় সহজ হবে। তিনি প্রায় অন্ধকারের মধ্যে দাবা চালাচালি করতে লাগলেন। দাবার সাদা-কালো ছকের রাজা-মন্ত্রীর দিকে আটকে আছে তাঁর চোখ। হাত চলছে এ-ধার ও-ধার। মনে হচ্ছিল, কোনো আরেকজন তাঁর বিপরীতে বসে ঘুঁটি চালছেন। চোখ দুটো ঘুরেফিরে একেকবার এক ঘুঁটি থেকে আরেকটায়, তারপর খুব সাবধানে ঘর পরিবর্তন করছেন। আমি দেখছি, জাতীয় অধ্যাপকের মুখে কী অক্ষর খেলা করে। অত্যন্ত নিবিষ্ট এবং নিঃসঙ্গ এক জ্ঞানজ্যেষ্ঠ আমারই সামনে দাবার খেলায় নিজেকে দুজন করে খেলায় মেতে উঠেছেন। পরে এমন বিরল দৃশ্য কয়েকবার বন্দী করেছি আমার ক্যামেরায়। দাবার ঘুঁটি চালার সময় বিড়বিড় করে গান করেন—রবীন্দ্রনাথের, নজরুলের। বৃদ্ধ বয়সে সুর বেসুরো হয়, কিন্তু দাবা খেলোয়াড়ের মুনশিয়ানায় হয় না কোনো ছন্দপতন। তখন কে বলবে তাঁর বয়স কত! এমনভাবে তিনি দক্ষ হাতে দাবার ঘুঁটিগুলোকে ক্লান্ত করে ফেললেন। আমি বিদায় নিই।
আরেক দিন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না আমার। মৃদু বৃষ্টি হতে থাকে। আমি সেগুনবাগিচার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখি, কাজী সাহেব গোলটেবিলটায় দাবা নিয়ে বসেছেন। ঠোঁট কেঁপে কেঁপে উঠছে, দাবার ঘুঁটির দিকে শকুনের চোখ। তিনি একা। কাকে হারাবেন, কে জিতবেন জানি না। আমি গিয়ে ঠিক সামনের খালি চেয়ারটিতে বসে পড়লাম। শাটারে চাপ দিয়ে ছবিও তুললাম। ক্যামেরার ক্লিক শব্দেও তিনি তাকালেন না আমার দিকে। দাবার ঘুঁটি চালাচালিসহ কাজী সাহেবের ভালো একটা ছবি তুলতে চাই। বসে আছি, চোখ রাখছি তাঁর পানে। হঠাৎ দৌড়ে এসে দুটি খুদে শিশু চুম্বনে বিরক্ত করতে পারল না তাঁকে। দৃশ্যটি ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। কাজী সাহেবের ধ্যান ভঙ্গ হলো না। অবকাশ হলো না আমার দিকে চোখ তুলে তাকানোর। তিনি দাবার ছকে অপলক, মন্ত্রীকে কোথায় স্থাপন করাবেন। আমিও আমার দিকে এই অমনোযোগিতা ও নৈঃশব্দ্যের সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করতে চাইলাম। দৃশ্যটি ধরে রাখলাম।
বহুবার তাঁর মুখ তুলে আনি আমার ক্যামেরায়। ধরে রাখি জাতীয় অধ্যাপকের দুর্লভ মুহূর্তগুলো। কিন্তু মন ভরে না। আরও কিছু চাই। তাঁর বাড়ির দেয়াল, মেঝে, বাগান—সবই আমার ক্যামেরায় চলে আসে তত দিনে। এমনকি শোবার ঘর থেকে খাবার টেবিলে হানা দেয় আমার অনুসন্ধানী ক্যামেরা। একসময় বয়স ও মেধার বিরাট ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই; যে সময় সহজে কাউকে চিনতে পারতেন না, এমনকি পরিবারের লোকজন কাউকে কাউকে কাছে থেকেও শনাক্ত করতে পারতেন না, সামনে দাঁড়ালে বুঝে যেতেন তাঁর ফটোগ্রাফার এসে গেছে। কাজী সাহেবের বাড়িতে শতাধিক দুর্লভ আলোকচিত্র গ্রহণের সৌভাগ্যবান হয়েও আমার মনে হতে লাগল, আরও ছবি তুলব—অন্য রকম, অন্য কোথাও। তাঁকে বাইরে নিতে হবে। বৃদ্ধ একজন জাতীয় অধ্যাপককে বাইরে নিয়ে যাওয়া আমার সাধ্যের বাইরে ছিল বলে মনে হয়েছিল। তিনি মাঝেমধ্যে অসুস্থ থাকতেন। অনুষ্ঠানে যাওয়াও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবু সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
১৯৭৮ সালের ২৯ আগস্ট বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীকে উপলক্ষ করে বাংলা একাডেমী ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই দিন ছিল বর্ধমান হাউসের দোতলায় পশ্চিম দিকে ‘নজরুল স্মৃতিকক্ষ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি করা হয় জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেনকে। কবি নজরুল তাঁর সৃষ্টিশীল সময়ে বর্ধমান হাউসের যে কক্ষে কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন, সেখানে গণিতের কৃতী ছাত্রী মিস ফজিলাতুননেছার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটেছিল। সেই কক্ষটাই বাংলা একাডেমীর ‘নজরুল স্মৃতিকক্ষ’। সেটি উদ্বোধন করা হয় নজরুলবিষয়ক আমার একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনের মাধ্যমে। আমার জন্য বিরল এক অভিজ্ঞতা; যাকে বাইরে এনে ছবি তোলার কৌশল খুঁজছিলাম, তিনি আমার একক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন লাল ফিতা কেটে ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটায়।
নজরুলের নামে খুলে গেল বর্ধমান হাউসের স্মৃতিবিজড়িত সেই ঘরটা। ড. কাজী মোতাহার হোসেনের সঙ্গে ঢুকে পড়লাম আমরা সবাই। অনেক দর্শক। ছোট্ট ঘরটায় দাঁড়ানোর জায়গার কমতি। তার মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে আমার ক্যামেরা। সবাই জাতীয় অধ্যাপককে ঘিরে ধরেছেন—যেন তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চায়। কিন্তু আমার মতলব যে অন্য কিছু। প্রধান অতিথির সঙ্গে আমার ক্যামেরা সব ধরে রাখছে। আগ্রহীরা আলোকচিত্র উপভোগ করছেন। খুব মনোযোগ নিয়ে আমার আলোকচিত্রগুলো দেখছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। তাঁর সময়ের নজরুল-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বরা যেন কুশল বিনিময় করছেন তাঁরই সঙ্গে। তাঁদের অনেকেই প্রয়াত। নিচে আলোচনা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। সেখানেও যেতে হবে প্রধান অতিথিকে। বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তারা তাগাদা দিচ্ছিলেন তাঁকে আলোচনা অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে। ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ছবি দেখে মন ভরেনি তাঁর। মনে হলো, তিনি আরও দেখতে চান। থাকতে চান কিছু সময়। যখন স্মৃতিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বোর্ডে ঝোলানো আরেক কাজী সাহেব তাকিয়ে ছিলেন তাঁর দিকে। দুই কাজী সাহেবের সামনাসামনি দৃশ্য, মনে হলো ত্রিশের দশকের বর্ধমান হাউসে ফিরে গেছি আমরা। কবি নজরুল ও মোতাহার হোসেন আমাদের ফোকাসে! প্রয়াত বন্ধু নজরুলের স্থির আলোকচিত্রের দিকে আঙুল তুলতেই কাজী মোতাহার হোসেনকে ফোকাসে রেখে দৃশ্যটি ধারণ করি ক্যামেরায়। অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ড. কাজী মোতাহার হোসেন দর্শকদের মন্তব্যের খাতায় লিখলেন, ‘আজ ২৯/৮/৭৮ তারিখে নজরুল স্মৃতিকক্ষ উদ্বোধন করা হলো। এটা আমার পক্ষে অতিশয় সুখের দিন; অবশ্য সে আমার নিজের গুণে নয়, নজরুল যে আমার সমসাময়িক কালের বন্ধু ছিলেন।’
সেদিন ছবি তুললাম অনেক। কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হলো না। তাঁকে এককভাবে পেতে চেয়েছিলাম। অনুষ্ঠান শেষে আমার ইচ্ছা ব্যক্ত করতে পারছিলাম না। প্রায় চিৎকার করে তাঁকে আমার ছবি তোলার কথা বোঝাতে পারলাম। ঠিক হলো, দুদিন বাদে আবার তাঁকে বর্ধমান হাউসে নিয়ে আসব। একটা উপায় পাওয়া গেল, তাঁর বাড়ির সদস্যদের বলা যাবে, তিনি ছবিগুলো আবার দেখতে আগ্রহী।
নির্ধারিত দিনে ১১৩ নম্বর সেগুনবাগিচায় গিয়ে একটু বিপাকে পড়লাম। কারণ, ছবি তোলার ব্যাপারটি তাঁর মনে নেই। ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললাম তাঁর পরিচর্যাকারীকে। তিনি সায় দিলেন। কিন্তু এও বললেন, যেন বাড়ির কেউ টের না পায় যে তাঁকে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি। চুপচাপ কাজী সাহেবকে তিনি তৈরি করালেন। আমার সঙ্গে কোনো যানবাহন ছিল না। একটু হেঁটে দূরে গিয়ে আমরা দুটো রিকশা ভাড়া করি। একটিতে আমি একা সামনে। পেছনে মূল্যবান ব্যক্তিত্ব জাতীয় অধ্যাপক এবং তাঁর পরিচর্যাকারী। সতর্ক ছিলাম, কেউ যেন তাঁকে দেখে না ফেলে। সেগুনবাগিচা পার হয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে কার্জন হলের সামনে দিয়ে ডানে বাঁক নিয়ে ঢুকে পড়লাম বাংলা একাডেমীর পাশে। কেউ চিনতে পারেনি তাঁকে। সামনে থেকে আমি দেখছি, পেছনের রিকশার আরোহী যেন এই শহরের একজন নিঃসঙ্গ আগন্তুক।
আমরা খুব দ্রুত বর্ধমান হাউসের দোতলায় চলে এলাম। কাঠের উঁচু সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় কাজী সাহেবকে ধরে সাহায্য করতে চাইলাম। তিনি বেশ সহজে একাই লাঠি ভর দিয়ে দোতলায় উঠে গেলেন। তাঁকে নিয়ে আবার ঢুকলাম নজরুল স্মৃতিকক্ষে। তখনো চলছিল আমার একক প্রদর্শনীটি। সকাল ১০টায় কেউ ছিল না। আবার প্রতিটি ছবি দেখলেন তিনি। দর্শকদের মন্তব্যের খাতা এগিয়ে দিলাম। লিখলেন, ‘আজ আমি অনেক ছবি দেখলাম—বাংলা একাডেমিতে ২/৯/৭৮ ইং। অনেক স্মৃতি মনে জাগল। এর থেকে বুঝতে পারলাম, বর্তমানে নাসিরউদ্দীন, আকবরউদ্দীন, ইব্রাহীম খাঁ আমার চেয়ে বড় ছিলেন কিন্তু তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন।… এ ছাড়া আমার চেয়ে অল্পবয়স্কও অনেকের ছবি দেখলাম। এসবের মধ্যে প্রায় সকলের ছবিই খুব ভালো উঠেছে—দেখামাত্র চিনতে পারলাম। নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, বেগম সুফিয়া, আবুল ফজল, এনামুল হক, মাহবুবুল আলম, আবুল মনসুর আহমদ, মনসুরউদ্দিন, বজলুর রশিদ, কুদরতে খোদা…প্রভৃতি অনেকের ছবি দেখে চিনতে পারলাম।
‘আলোকচিত্রশিল্পী স্নেহভাজন।…কেও প্রশংসা করি—ছবিগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আমি আশীর্বাদ করি, এ যেন আরো অনেক অনেক ছবি তুলবার সুযোগ পায়…আল্লাহ প্রসন্ন হৌন।’
বর্ধমান হাউসের বিস্তৃত বারান্দায় এই ইমারতের সামগ্রিক প্রাচীনত্বের পরিবেষ্টনীর মধ্যে একটি কাঠের চেয়ার পেতে দিলাম; যা তাঁর বহু স্মৃতি বিজড়িত। ত্রিশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকার সময়ে তিনি এই ভবনে কয়েক বছর অবস্থান করেন। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত দালানটি তাঁকে স্বাগত জানাল। হাতে শক্ত করে ধরা একটি ডালিয়া ফুল এবং কালো টুপি মাথায়, পরনে ফুলহাতা শার্ট—আমার ক্যামেরার ফোকাসে থাকা মানুষটির সাদা দাড়ি বাতাসে দুলে উঠল। হাতের লাঠিটা আড়াআড়ি ধরে বসে বাইরে দৃষ্টি দিলেন, আমি ছবি তুললাম।
বর্ধমান হাউসের নজরুল স্মৃতিকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে কাজী নজরুল ইসলাম ও কাজী মোতাহার হোসেনের প্রতি আমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ২৯, ২০১১
Leave a Reply