ছবি আঁকায় মন দিয়েছিলেন জীবনের হেমন্তবেলায়, ৬৭ বছর বয়সে। ছায়াছবি পরিচালনায় হাত দিলেন আরও একটু পরে, প্রায় ৭০ বছরে। ছায়াছবিটির নাম নটীর পূজা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিচালিত একমাত্র চলচ্চিত্র। জীবিতকালেই তাঁর অনেক কাহিনি ছায়াছবিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু নটীর পূজা তাঁর পরিচালনায় প্রথম ও শেষ ছায়াছবি। ঘটনাটিকে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের ইতিহাসে একটি মাইলফলক বলা যেতে পারে। কারণ, এ দেশে এই শিল্পমাধ্যমটির উষালগ্নের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ ও নিবিড় সম্পৃক্ততার এক সৃজনশীল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ১৯৩২ সালের এই ঘটনাটি।
বিদেশ থেকে আনা বিজ্ঞানের দান এই নতুন শিল্প সম্পর্কে কবির মনোভাব বেশ প্রসন্নই ছিল। তিনি নিজেও তাঁর কাহিনি নিয়ে নির্মিত ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন, নাটক তপতীকে ব্রিটিশ ডমিনিয়ন ফিল্মস লিমিটেড ১৯২৯ সালে চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত করেছিল। যে ছবির শুটিং হয় শান্তিনিকেতনে, ১৯২৯ সালে। কবি এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। আট রিলের এই ছায়াছবির হাত ধরেই রুপালি পর্দায় কবির প্রথম আবির্ভাব। শিল্পসৃষ্টির এই নতুন আঙ্গিকটির সম্ভাবনা এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কবির চিন্তাভাবনার ধারণা পাওয়া যায় তাঁর একটি চিঠিতে, যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ছায়াচিত্রের প্রধান জিনিসটা হচ্ছে দৃশ্যের গতিপ্রবাহ। এই চলমান রূপের সৌন্দর্য বা মহিমা এমন করে পরস্ফুিট করা উচিত, যা কোনো বাক্যের সাহায্য ছাড়া আপনাকে সম্পূর্ণ সার্থক করতে পারে। সুরের চলমান ধারায় সংগীত যেমন বিনা বাক্যেই আপন মাহাত্ম্য লাভ করতে পারে, তেমনি রূপের চলৎপ্রবাহ কেন একটি স্বতন্ত্র রসসৃষ্টিরূপে উন্মোচিত হবে না?’ ছায়াছবির সেই হাঁটিহাঁটি পা পা যুগেই ভবিষ্যতদ্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ দেখতে পেয়েছিলেন, এক অপার সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে চলচ্চিত্রের ‘দৃশ্যের গতিপ্রবাহের’ সৌন্দর্যে। শিল্পটি যে একদিন এর সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি শক্তিশালী ও গতিশীল মাধ্যমে উন্মোচিত হবে, সে ইঙ্গিতও খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর এই চিঠির ছত্রে।
রবীন্দ্রনাথের কথা-কাহিনিতে বৌদ্ধ যুগের আখ্যানমূলক ‘পূজারিণী’ নামে যে কবিতাটি আছে, তার মূল ভাব অবলম্বন করে নটীর পূজা নৃত্যনাট্যটি রচনা করা হয়। এর কাহিনি সবারই জানা। তবু রচনাটির সংক্ষিপ্ত পুনরাবৃত্তি হয়তো অসংগত হবে না। ধর্মদ্বেষী দেবদত্তের শিষ্যরা সম্রাট অজাতশত্রুর সহায়তায় তখন সব বৌদ্ধমন্দির ধ্বংসে উন্মত্ত। মগধ রাজসভার নটী ভক্তিমতী শ্রীমতী রাজরোষে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও পূজার জন্য প্রস্তুত হন। আততায়ীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ দিয়ে শ্রীমতী পূজা শেষ করেছিলেন। এ নর্তকীর দেহ যেন আরতির দীপশিখায় রূপ নিল সেদিন। নাটকের মূল বক্তব্য এটুকু।
শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরাই এই নাটকের কুশীলব। রবীন্দ্রনাথের তত্ত্বাবধানে ও শিক্ষাগুণে নটীর পূজা উচ্চতম নাট্যকলাসম্মত ভাবাভিনয়ে উন্নীত হয়েছিল।
ঘটনাবাহুল্যকে বর্জন করে ভাবকেই দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলা ছিল এর মূল লক্ষ্য। মাত্র দুই ঘণ্টাকাল অভিনয়ে কবি বিভিন্ন চরিত্রের মধ্য দিয়ে নানা ভাবের সংঘাতে মনোজগতের নিবিড় রহস্য প্রকাশ করেছেন শৈল্পিক দক্ষতায়। তিনি প্রমাণ করলেন, রঙ্গমঞ্চে দৃশ্যপটের আড়ম্বর বাদ দিয়েও উচ্চতম নাট্যকলার মান অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব। প্রাচীন ভারতীয় প্রথার নৃত্যকলা নাটকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। অভিনয় ও সংগীতের মাধুর্যে নাটকটি অল্প সময়ের মধ্যে সমালোচকদের প্রশংসা ও দর্শকের সাধুবাদ অর্জনে সক্ষম হলো। শ্রীমতীর ভূমিকায় নন্দলাল বসুর কন্যা গৌরী বসু বিশেষ সুনাম অর্জন করেন।
সে সময় শান্তিনিকেতনের আর্থিক অনটনের কারণে রবীন্দ্রনাথ বিব্রত ও দিশেহারা। বিশ্বভারতীর শূন্য তহবিলে কিছু অর্থাগম হতে পারে ভেবে কবি কলকাতায় নাটকটির সাহায্য-রজনী মঞ্চস্থ করতে মনস্থির করলেন।
নাটকটির খ্যাতি ও উচ্চমানের অভিনয়ও তাঁকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছিল। কবির সুহূদরা অবশ্য কলকাতায় জনসমক্ষে বিশ্বভারতীর ছাত্রীদের অভিনয়ের ব্যাপারে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেন। সে সময়ের রক্ষণশীল সমাজে ভদ্রঘরের মেয়েদের প্রকাশ্যে মঞ্চে অভিনয় ও নৃত্যসংগীত পরিবেশনা নিয়ে যথেষ্ট বিরূপ মনোভাব ছিল। নটীর পূজার টিমে সবাই নন্দলাল বসুর কন্যা গৌরী বসুর মতো অনূঢ়া ও ভদ্রঘরের মেয়ে। রবীন্দ্রনাথ সমস্যাটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝে প্রায় পুরুষবর্জিত এই নাটকে একটি অন্যতম পুরুষ চরিত্র ডিমু উপালীকে জুড়ে দিলেন। শুধু এই নয়, কবি স্বয়ং ভিক্ষু উপালীর ভূমিকায় মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন। এভাবে বিরূপ সমালোচনা, বিশেষ করে রক্ষণশীলদের প্রতিরোধকে কিছুটা নমনীয় করা হলো। পরবর্তী সময়ে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের জনসমক্ষে অভিনয়কে বৈধতা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কবি স্বয়ং রঙ্গমঞ্চে এক পাশে বসে থাকতেন। ফলে তাঁর উপস্থিতি মঞ্চের শিল্পীদের জন্য এক বিশেষ মর্যাদা আরোপ করে। রবীন্দ্রনাথের এই প্রচেষ্টাকে ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য স্টেটসম্যান স্বাগত জানিয়ে মন্তব্য করে: ‘তিনি মঞ্চকে এক মানবিক রূপ এবং বিজয়ীদের কলাকে মর্যাদা দিয়েছেন—মামুলি নাচকে করেছেন নৃত্যকলায় রূপান্তর।’ নটীর পূজা সে সময়ের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিকে কিছুটা পরিবর্তন করে শিক্ষিতা মেয়েদের প্রকাশ্য রঙ্গালয়ে অবতীর্ণ হওয়ার পথকে সুগম করেছিল—এতে সন্দেহ নেই। আর এই অনুকূল বাতাবরণ সৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের ছিল পথিকৃতের ভূমিকা।
বিশ্বভারতীর সাহায্যকল্পে নটীর পূজা কলকাতায় অভিনীত হয় বেশ কয়েকবার। সমালোচকের প্রশংসাও পেল যথেষ্ট। ১১৩১ সালের শেষের দিকে কবি বিশ্বভারতীর দল নিয়ে কলকাতায় এলেন নটীর পূজা অভিনয় করতে। নিউ থিয়েটার্সের স্বত্বাধিকারী এবং প্রধান কর্ণধার বি এন সরকার নৃত্যনাট্যটির অভিনয়ের সুখ্যাতিতে মুগ্ধ হয়ে কবিকে অুনরোধ জানালেন তাঁর নিউ থিয়েটারের ব্যাপারে এবং রবীন্দ্রনাথের পরিচালনায় নটীর পূজার মঞ্চরূপকে ছায়াছবিতে পরিণত করার। সঙ্গে প্রস্তাব দিলেন এই ছায়াছবির টিকিটের বিক্রয় থেকে যা লাভ হবে, তার অর্ধেক রবীন্দ্রনাথের শ্রীনিকেতন প্রকল্পের সাহায্যার্থে দেওয়া হবে। কবি সম্মতি দিলে শুটিং শুরু হলো নিউ থিয়েটার্সের স্টুডিওর এক নম্বর ফ্লোরে। সেদিন স্টুডিওতে অগণিত দর্শনার্থী হাজির তাঁদের প্রিয় কবিকে একনজর দেখতে।
সে সময় নিউ থিয়েটার্সের পতাকাতলে বহু গুণী মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। এঁদের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয়, কাজী নজরুল ইসলাম, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শৈলজারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, প্রেমান্ধুব আতর্থী ও বুদ্ধদেব বসুর নাম—যাঁরা কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ লেখক ও গীতিকার হিসেবে নিউ থিয়েটার্সের প্রযোজিত অনেক ছায়াছবিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। নিউ থিয়েটার্সের ২৫ সদস্যের একটি টিম মাত্র পাঁচ দিনে একনাগাড়ে শুটিং করে ছবিটির কাজ শেষ করে। ব্যস্ততার কারণে রবীন্দ্রনাথের পক্ষে এর বেশি সময় কলকাতায় কাটানো সম্ভব ছিল না। তাঁকে নটীর পূজার পুরো দল নিয়ে অতি সত্বর ইউরোপে যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। শ্রীনিকেতনের প্রকল্পের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই বিদেশে অর্থ সংগ্রহের জন্য না গেলেই নয়।
নিউ থিয়েটার্স কবির এহেন পরিস্থিতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে সব রকমের সহযোগিতা করেছিল।
শুটিংয়ের সুবিধার জন্য স্টুডিওর ভেতর থেকে শকুন্তলা ছায়াছবির জন্য তৈরি ছনের কুঁড়েঘরের সেটটি রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হলো। যে সময় এ ছবির শুটিংয়ের কাজ চলছিল সে সময়টা ছিল গ্রীষ্মকাল। তখন ফ্লোরে এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা না থাকায় ফ্লোরের চারদিক আটকানো দমবন্ধ গরমে কাজ করতে হতো সবাইকে। শুটিং চলার সময় ফ্যান চালানো যেত না। ফ্যান চলত প্রত্যেক শটের শেষে। কবি সেই গরম সহ্য করতে না পেরে মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসতেন ফ্লোরের বাইরে। আমগাছের ছায়ায় একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার ঢুকে যেতেন ফ্লোরে। বি এন সরকার কবির কষ্টের কথা জানতে পেরেই হুকুম দিলেন পুকুরপাড়ে চারদিক খোলা, হাওয়া খেলা একটি গোলাকৃতি ঘর তৈরি করতে। রাতারাতি তৈরি হলো এক নম্বর ফ্লোরের সামনে আমগাছের ছায়ায় খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর। কবি যে কদিন স্টুডিওতে কাজ করেছিলেন, সে কদিনই এখানে বিশ্রাম নিতেন শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে। এটি নিউ থিয়েটার্সের রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য বিখ্যাত গোলঘর। কবি এই অভিজ্ঞতা ও স্টুডিওর মনোরম পরিবেশ দেখে বলেছিলেন, ‘এটা আমার দ্বিতীয় শান্তিনিকেতন।’
পিনাকী চক্রবর্তী তাঁর নিউ থিয়েটার্স বইয়ে এই শুটিংপর্বের আরও একটি মজার ঘটনার উল্লেখ করেছেন। সে সময় স্টুডিওতে নিয়ম ছিল প্রতিদিন ঠিক তিনটে বাজলে সেখানে উপস্থিত সবাইকে এক কাপ করে চা খাওয়ানো হতো। ক্যানটিন ইনচার্জ ননী বাবু নিজে চা দিতেন, সঙ্গে তাঁর সহকারীর হাতে কাপভরা বালতি নিয়ে। একদিন নটীর পূজার শুটিং চলাকালে ননী বাবু সবাইকে চা দিয়ে যাচ্ছেন। সেদিন স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ও ক্ষিতিমোহন সেন। এ সময় তাঁদের জন্য সুন্দর ট্রেতে আলাদাভাবে চা এল। কবি সেদিন আলাদা চা না খেয়ে ক্যানটিনের চা ক্যানটিনের কাপে খেতে চাইলেন। বি এন সরকার নিজের হাতে চায়ের কাপ নিয়ে এলেন কবি ও ক্ষিতিমোহন সেনের জন্য। নটীর পূজায় যেসব মেয়েরা অভিনয় করছিলেন তাঁদের চা দেওয়া হলো—তবে তাঁরা জানালেন যে তাঁরা চা খান না। ক্ষিতিমোহন সেন মজা করে বললেন, ওরা No Tea (নো টি) কথাটা ননীবাবু বুঝতে পারেননি তখন কবি বাংলায় মানে করে বুঝিয়ে দেন ওরা নাচিয়ে, মানে নটীর দল। নটীর পূজা ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ চিত্রা সিনেমা হলে মুক্তি পায়। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন সেদিন প্রেক্ষাগৃহে। ছবির ক্যামেরার কাজ করেছেন নিতীন বসু, শব্দ গ্রহণে মুকুল বসু। সংগীতে দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর আর সম্পাদনায় সুবোধ মিত্র। সম্পাদনা শেষে ছবিটির দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৭৭ ফুটে। অভিনয়ে শান্তিনিকেতনে ছাত্রছাত্রীরা সবাই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। নটি শ্রীমতীর ভূমিকায় ছিলেন ললিতা সেন, রানী লোকেশ্বরীর ভূমিকায় সুমিতা চক্রবর্তী, লীলা মজুমদার উৎপলার বেশে এবং ভিক্ষু উপালীর ভূমিকায় স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।
বলে রাখা ভালো, মঞ্চে নৃত্য নাট্যটি যেভাবে অভিনীত হতো ঠিক সেভাবেই ফিল্মে ধারণ করা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হলো ‘ইট ব্রোক দ্য কনভেনশনাল রুল অব সিনেমা’ এবং ‘ফিল্মড লাইক স্টেজ প্লে।’ ৪ ডিসেম্বর ১৯৩২ এ ছবিটি শ্রী রূপা সিনেমা হলে আবার দেখানো হয়। প্রেক্ষাগৃহের বিজ্ঞাপনে ছবির নৃত্যগীতের প্রশংসা করে সে আমলের প্রথামতো শেষ করা হলো দর্শকদের প্রতি এই আবেদন জানিয়ে ‘মা-লক্ষ্মীদের সঙ্গে আনিতে ভুলিবেন না—স্বতন্ত্র ব্যবস্থা আছে।’
সংবাদপত্রের ভূয়সী প্রশংসা সত্ত্বেও নটীর পূজা ছায়াছবি বাণিজ্যিকভাবে খুব সফল হতে পারেনি। বি এন সরকার অবশ্য শুটিংয়ের জন্য মাত্র পাঁচ দিন বরাদ্দ করাকেই এর মূল কারণ মনে করেছেন। আগেই বলা হয়েছে, কবির ইউরোপ যাত্রার ব্যস্ততায় পাঁচ দিনের বেশি সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তাঁকে বিদেশে যেতে হয়নি সে যাত্রায়। অসুস্থ শরীরে কবি ইউরোপ যাবেন জেনে শঙ্কিত গান্ধী শ্রীনিকেতনের জন্য অর্থ পাঠিয়ে বিদেশযাত্রা থেকে বিরত করেছিলেন তাঁকে।
১৯৪০ সালে নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে আগুন লেগে অনেক ছবির প্রিন্টের সঙ্গে নটীর পূজার নেগেটিভও জ্বলে যায়। তবে তার একটি আংশিক ১৬ মিলিমিটার ফিল্ম রাখা আছে রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহে, তবে রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য সেই খড়ের চালের গোলঘর হারিয়ে গেছে কয়েক বছর আগে। চিরদিনের জন্য।
তথ্যসূত্র
১. রবীন্দ্রনাথ ও চলচ্চিত্র। অনুপম হায়াৎ দিব্য প্রকাশন ২০০৮, ঢাকা
২. শর্মিষ্ঠা গুপ্ত: দি গ্লোরী দেট ওয়াজ এন এক্সপ্লোরেশন অব দি আইকনিসিটি অব নিউ থিয়েটার্স। ২০০৩
৩. চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিউ থিয়েটার্স; পিনাকী চক্রবর্তী—আনন্দ, ২০০৬
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৫, ২০১১
Leave a Reply