একখণ্ড ইটের টুকরো হাতে নিয়ে হুজুরের গায়ে ছুড়ে মারল আলেয়া।
কপালের ক্ষতচিহ্ন থেকে রক্ত ঝরঝর না হতেই ইউসুফ হুজুরের পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত সাদা পাঞ্জাবিতে মোড়ানো শরীরটা কাছারির ঢেলার ওপর অনেকটা তরঙ্গের মতো ঢেউয়ে ঢেউয়ে বিছিয়ে পড়ল।
অকস্মাৎ বিপদে পড়া অন্য আর দশজনের মতোই প্রাথমিক রোদনে তপ্ত এলোহাওয়ায় মিশিয়ে দিল, ‘মা গো!’ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই, বাতাস না অন্য কেউ বোঝা গেল না, ‘আলেয়া ইট মারি হুজুরের মাথা ফাটাই দিছে’ এ খবর প্রচার করতেই ভেতরবাড়ি থেকে গৃহস্থরা ছুটে আসতে থাকল।
মানুষ ও গুঞ্জনে ভারী হয়ে এল কাছারির আশপাশ।
ঘটনাটি শিকারি কাছারির উত্তর-পূর্ব কোণ থেকে ঘটিয়েছে। আর শিকার হাতের কাছেই, কাছারির পাশে উত্তরে শান বাঁধানো পুুকুরের পাড়ঘেঁষে যে সরু ধূলি-ওড়া পথ সদর দরজা থেকে সোজা অন্দরে প্রবেশ করেছে তারই ধার ধরে, কাছারির খোলা মুখে ঢেলায় দাঁড়িয়ে ছিল।
ঘটনার কয়েক মিনিট আগে মাত্র সুপারি-নারকেলের দুপুরি ছায়া মাথায় করে শান বাঁধানো পুকুরটির ঘাটে বসে আমি ক্লান্ত গ্রীষ্মের একটি প্রহরকে তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে চাচ্ছিলাম। আর তারও কদিন আগে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে প্রত্যন্ত গ্রামের এ বাড়িটিতে আমি এসেছি।
আমার মায়ের তিন কি চার পুরুষের বাস এ বাড়িতে। বাড়িটি এত বিশাল যে গাছপালা, বাগানঘর, পতিত জায়গা বাদ দিয়ে পাঁচ-পাঁচটি দীর্ঘায়তন পুকুরও আছে। আত্মীয়দের মধ্যে মায়ের এবং আমার প্রজন্মের কেউ কেউ নিজ প্রয়োজনে এ বাড়ি ছেড়ে কোনো না কোনো শহরের বাসিন্দা হয়েছে।
ঘটনার আগে যদিও আমি একা বসে ছিলাম, তবু একা ছিলাম না। যুগ যুগের পুরোনো জরাজীর্ণ এই কাছারিটি সঙ্গ দিচ্ছিল আমায়, যে কাছারির বারান্দায় ক্ষণিক আগে একটা গোলযোগ বেধে গেল। শৈশবে মা যখন নানাবাড়ির নানা গল্প বলতেন, তখন সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকত এই কাছারির গল্প। কিন্তু তাঁর গল্পে এ কাছারির দেহ-সম্পর্কীয় যে বিবরণ ছিল, এখন তার খানিকটা পরিবর্তনের সময় এসেছে। দিনে দিনে এর চালের এবং দেয়ালের টিনে মরিচা ধরেছে। কোথাও কোথাও শুকনো মরা গাছের বাকলের মতো এর কাঠের কঙ্কাল থেকে টিনের শরীর খুলে খুলে মুড়িয়ে গেছে, যেন বার্ধক্যের শরীরে ঢিলে চামড়ার ঢেউ। ভিটার রং ফ্যাকাশে হয়ে তার ওপর সবুজ শ্যাওলার আস্তর জমেছে। মতিলাল, হলাধর ও গদাধরের দল জানলার শিক খুলে নিয়ে বহু আগেই হাওয়াই মিঠাই আর কটকটি খেয়েছে।
বাড়ির গৃহস্থরা কাছারির চালাটিকে আরেকটা কাজে ব্যবহার করছে। বারান্দার দুই পাশে এবং পেছনে বেড়ে ওঠা মোটা দড়ির মতো কুমড়োর কাণ্ড সাঁইসাঁই করে চালায় গিয়ে শুয়ে পড়েছে।
আলেয়া যখন উত্তর-পূর্ব কোণে মোড়ার নিচে দাঁড়িয়ে চালের দিকে তাকিয়ে ছিল তখন আমার মনে হয়েছিল এই নিরীহ ষোড়শী মানবী সবচেয়ে বড় কুমড়োটি আজকের দুপুরের খাবারের আয়োজনের জন্য বাছাই করছিল।
শৈশবে যখন মা-সহ এ বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম তখন আলেয়াকে মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখেছি। আলেয়ার মা মেয়েকে উঠোনে চরতে দিয়ে কাজে হাত লাগাত। পাছে আবার এমন পটু কাজের লোক না পাওয়া যায়, সে আশঙ্কায় গৃহস্থরা নিজেদের অবসরমতো আলেয়াকে মাঝেমধ্যে মাটি থেকে উঠিয়ে কোলে নিত এবং সবকিছু বাদ দিয়ে পোষা কুকুরগুলোকে দেখাত। মাতৃক্রোড়কালে কুকুরের কাছ থেকে শিখে নেওয়া প্রভুভক্তি আজও কমেনি আলেয়ার।
হুজুরের কথায় আসি, লোকমুখে হুজুরের নাম—সন্দ্বীপি হুজুর। হুজুর এ বাড়ির কেউ না। সন্দ্বীপের হানিয়া গ্রামের এক খান্দানি তরিকার মানুষ। মসজিদওয়ালা বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলেই হানিয়াবাসী আর কোনো বাড়িতে মসজিদ থাকুক আর না থাকুক, পাত্তা না দিয়ে আঙুলের ইশারায় মুখস্থ দেখিয়ে দিত সুপারি-নারকেলের মাথায় ঘেরা ইউসুফ হুজুরের বাড়িটিকে। রোজ শয়ে শয়ে লোক আসত, তাবিজ-পানি পড়া নিত। পিরালি কায়দা-কানুন তাঁদের বংশগত। হিসাব করলে হয়তো পূর্বপুরুষের মাথা মধ্যযুগের আদিতে গিয়ে ঠেকবে। হুজুরও কারও কারও কাছে এমনটিই বলেন, ‘দাদার দাদার…বাবা ইরানি বংশজাত বিখ্যাত সুফি, বঙ্গদেশে এসেছিলেন দীনি কাজে।’
ইউসুফ এক মাস হলো এ কাছারিতে আছেন। তাঁর বিবি-বাচ্চারাও সঙ্গে এসেছে। গৃহস্থেরা তাদের থাকার জন্য বাড়ির এক কোণে পরিত্যক্ত জায়গা বেছে এক টুকরো শনে ছাওয়া কুঁড়ে উঠিয়ে দিয়েছে।
শনের ঘরেই হুজুর, হুজুরের বিবি-বাচ্চার বসবাস আর কাছারিটি একই সঙ্গে এ বাড়ির ওয়াক্তি মসজিদ এবং হুজুরের খানকাহ্।
এ কাছারি একদিন ছিল ‘কাছারি’
আমার মায়ের দাদার বাবা ছিলেন জমিদার। জমিদার দর্পণ, নীল-দর্পণ অথবা আরও কিছুজাতীয় কিছু (!) এখানে ঘটেছিল কি না জানি না, তবে খাজনা আদায়, সালিস-দরবার, রোজ কাঙালিভোজ, রঙ্গবিলাস—এসব এই সদর দরজার প্রথম ঘরটিতে সমাধা হতো। জমিদার প্রজার সুখ-দুঃখের কেন্দ্র ছিল এই কাছারি। তারপর যেন হঠাৎ প্যারীচাঁদের আলালের ঘরের দুলাল জমিদার-প্রজার মধ্যকার দূরত্ব ঘুচিয়ে দিল। এই কাছারিতেই একটি ‘নাটক’ হয়েছিল। চরিত্রগুলোতে ঢুকে পড়েছিলেন জমিদার-প্রজা। বিশেষ বিশেষ দিনের রাত্রিতে অন্তত ঘণ্টা দুয়েকের জন্য প্রজা-জমিদারকে আর আলাদা করা যেত না। ওই রঙ্গমঞ্চে দর্শক শুধুই দেখত বাবুরামবাবু, ঠকচাচা, বাঞ্ছারামবাবু আর মতিলালদের।
ঠিক কত দিন এ কাছারি রঙ্গমঞ্চ ছিল তা কারও জানা নেই। তবে এটা সবার জানা যে সাতচল্লিশের আগ পর্যন্ত এ ঘরটি অনেকটাই পরিত্যক্ত এবং একা হয়ে ছিল। উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে বিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই ভারতবর্ষে কত কী হয়ে গেল! এখানকার গৃহস্থরা তার কিছু জেনেছে, কিছু অজানায় রেখেছে।
তারা প্যারীচাঁদের পিছু ছাড়তে পারল না। এ বাড়ির হলাধর, গদাধর, মতিলাল অথবা ফটিকজাতীয়দের রামলালের মতো মানুষ করার জন্য এই ঘরটিকে তাদের কাছে স্কুল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিল।
এরই মধ্যে ঘরটির চৌকাঠ, চালা, বেড়া ইত্যাদিতে বারকয়েক পরিবর্তন এলেও ভিটেমাটি গৃহস্থদের পূর্বপুরুষের পদধূলি বুকে পরম যত্নে ধরে দিনে দিনে আরও দৃঢ় হতে থাকল। সেই সঙ্গে দৃঢ় হতে থাকল বাঙালি। বাঙালির শরীর-মন-মানস।
তারপর যখন আমরা আমাদের হলাম তখন আরেকবারের জন্য কাছারিটি গৃহস্থদের পর করে দিল।
অদূরে পাঁচ-সাত গাঁয়ের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বসানো হলো। জীর্ণ কাছারি ঝড়ে কি বাতাসে কখন ভেঙে পড়ে এ মত যেন গৃহস্থদের ঠিক করাই ছিল—সবাই সেদিকে ছুটল।
অনাদরে রইল কাছারি। কারও কারও মুখে নাম রটল ভূতের ঘর!
হুজুর আসার দুই কি এক বছর আগে হঠাৎ একদিন সাপুড়ের দল সাপের সন্ধানে হানা দিয়েছিল। সবাই দেখিয়ে দিল ওই ভূতের ঘরটি, ওই স্কুলঘরটি, ওই রঙ্গমঞ্চটি! কিন্তু সর্পধারী দল ছুটল কাছারিতে। অনেক মন্ত্র-তন্ত্রবলে একজোড়া বৃহদাকার পদ্মগোখরা উদ্ধার করে সাপুড়ে দল ঘোষণা করল, ‘আরও থাকতে পারে। তবে আজকের পরিশ্রমে আর নয়।’ তখন থেকে ঘরটিতে কারও আর কোনো দরকার নেই।
হুজুর এসে যেন ওই সাপুড়ে দলের মুখের ওপর প্রতিবাদ ঘোষণা করলেন, ‘আমনেরা আল্লার ওপর ভরসা রাখেন। আমি এই ঘরেই থাইকতে হারুম। এত বড় বাই, এককান মসজিদ তো অন্তত দরকার। আল্লার ডর-ভয় দুনিয়া থোন উডি গেছে নাকি। আমনেরা কোনো আপত্তি না কইরলে…। এরিয়ো আই নদীভাঙ্গা মানুষ। আঁরে দয়া করেন।’
সবাই তখন একবাক্যে সায় দিয়ে, অন্তত আর কিছু না হোক, কাছারির সরু যে পথ ধরে তাদেরকে ভেতরবাড়ি ঢুকতে হয় সে পথে বিপদমুক্তির একটা উপায় বের করল।
আমার মনে হয়, আলেয়া সেদিন কিছু বলতে চেয়েছিল। অথবা সে বলতে গিয়েও বলতে পারেনি। সে বাধা দিতে চেয়েছিল—এ কাছারিতে শুধু সাপেরা থাকবে। বিষধর সাপ। অন্য কোনো প্রাণ থাকবে না। এখানে এখন একটা পিঁপড়া থাকাও ভীষণ উৎপাতের কারণ।
আলেয়ার আজকের এমন কাণ্ডে অনেক দিন পর গৃহস্থদের কাণ্ডে আবার একটা ছেদ পড়ল।
একটি উত্তেজনাপূর্ণ খেলা শেষ হলে দর্শক যেমন দুই দলের ভুলত্রুটি এবং সেই সঙ্গে জয়-পরাজয়ের কারণ বলতে দেরি করে না, ঠিক তেমনি এ ঘটনারও নানা কারণ নানাভাবে নানামুখে উঠে আসতে থাকল।
আলেয়া মুখ খুলল না।
হুজুর আধাশোয়া অবস্থায় ঘাড় ঘুরিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এ সম্পর্কে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি।
আলেয়ার কুমড়ো পাড়ার শব্দে তিনি কাছারি থেকে বের হয়েছিলেন। সন্দেহ থেকে বের হওয়া। চোরও তো হতে পারত। দিনদুপুর, তবু বিশ্বাস আছে কাকে? একে তো বাহিরবাড়ির ঘর, তার ওপর সবই তো অভাবীর দল। হুজুর আলেয়ার দিকে তাকিয়ে হাসি হাসি করে বলেছিলেন, ‘ও, আপনি?’
তবে আমি যেহেতু কাছেই ছিলাম, তাই কিছুটা ধরতে পেরেছি, হুজুরের ওই হাসির মধ্যে আলেয়া বিছা বা মাকড়শা টাইপের কিছু একটা দেখেছিল, যা তাকে কোনো একটাভাবে তেড়ে আসছিল।
গৃহস্থদের কেউ কেউ আলেয়াকে ধমকে উঠল, ‘কী হইছে ক! ক্যান ইট মাইরছস হুজুররে? উনার অপরাধ কী?’
আলেয়ার মুখ থেকে কোনো কথা বেরোল না। মাটি থেকে চোখ-পা কোনোটাই সরল না। অপরাধীর মতো নিজেই দৃষ্টি মাটির এক জায়গায় নিবদ্ধ করে কোন সাজাটা এখন তার কপালে জুটবে তার সচিত্র নমুনাই যেন সে প্রত্যক্ষ করছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকারণ সম্পর্কে তেমন কোনো আভাস পাওয়া না গেলেও, নানামুখী আলোচনা, অনুমান থেকে শেষমেশ যে ব্যাখ্যায় আমার বিশ্বাস দৃঢ়মূল হলো তা হলো, মানব-মানবীর প্রেমে ব্যাঘাত।
বার-তারিখ বলতে পারব না। গত বছর দক্ষিণাঞ্চলের চরে যখন দিকে দিকে আমনে সোনা রং ধরতে থাকল, তখন আলমাস ধানে বদলা দিতে এখানে এসেছিল। তার শক্তি-সামর্থ্যে আলাদা যশ দেখতে পেয়ে আমার মায়ের চাচা তাকে বারমাইস্যা কামলায় এ বাড়িতেই থাকার উপায় করে দিলেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতেও দু-একটা কাজ পড়ত। সেই সুবাদে আলেয়া আর আলমাস কখন যে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠল, গৃহস্থরা তা জানল না।
রাত্রিতে আলেয়া-আলমাসকে কাছারিতে পাওয়া যাবে—এমন খবর গৃহস্থরা যদি কোনোক্রমে জানত, তবে হয়তো সমস্ত সাপের ভয়, ভূতের ভয় ত্যাগ করে ওই কাছারিতে ছুটে গিয়ে বলত, ‘ধর ধর, এ দুই নাগ-নাগিনীকে ধর। যৌবনবিষের কী তেজ! দেখ! এবার সমাজের গায়েই ছোবল মারল।’
সিলিন্ডার ভরা বিষ, ঝিনুক শরীর, কেঁপে কেঁপে ওঠা চারটি শাখার উড়ন্ত শ্বাস, দুই পা ছড়িয়ে ভেসে থাকা বালুচর, ফেনিল ঢেউ এবং শুশ্রূষার ভাষা—এসব কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয়নি গৃহস্থদের। নিত্য বালুতটে ঢেউয়ে ভেসে আসা ভালোবাসা জোছনায় কী অমাবস্যায় শেষ রাতের বাঁকে ছোপ ছোপ ফড়িং হয়ে উড়ে যেত।
একদিন গভীর রাতে আশপাশের বাতাস কিছুক্ষণের জন্য, কিছু মুহূর্তের জন্য কাছারিতে ঢোকেনি। সেদিন থেকে দুই নাগ-নাগিনীর তীর্থতলে এক অচিন ওঝা তার বীণে অবিশ্রান্ত সুর তুলল। সেই সুর তাদের আর এক হতে দিল না। এমন বিচ্ছেদ সইতে না পেরে আজ দুপুরে নাগিনী হঠাৎ ফোঁস করে উঠেছিল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৮, ২০১১
মাকসুদ
খুবই সুন্দর লগেছে। মানব-মানবীর চরিন্তন মলিন বর্ণনায় সাগররে ঢউে এবং ঝনিুকরে উপমা ভাল হয়ছে।ে পরিতি েবাধা দলি েকউে কতটা হংিস্র হয় েউঠত েপার েগল্প েমােটামুট িফুট েউঠছে।ে তব েবাবুরাম, বাঞ্ছারাম, জমদিার দর্পণ, নীল দর্পণ, আলালরে ঘররে দুলাল ইত্যাকার উদাহরণগুলাে খাপছাড়া মন েহয়ছে,ে কনেনা গল্পটা বুঝত েউক্ত বইগুলাে আর চরত্রিগুলাে সম্পর্ক েজানা শর্ত মন েহয়ছে।ে তব েএটা অস্বীকার করছনি,ে বষিয়ট িপাঠকরে বই পড়ায় আগ্রহী কর েতুলব।ে তব েবপিরীত,ে এ ধরণরে উপমা প্রয়ােগ গল্পরে আবদেন অনকোংশইে ক্ষুণ্ন কর।ে
মাকসুদ
খুবই সুন্দর লেগেেেছ। মানব-মানবীর চিরন্তন মিলন বণর্নায় সাগরের ঢেউ এবং ঝিনুকের উপমা ভাল ফেগেছে। প্রেমে বাধা দিলে কেউ কতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে গল্পটিতে মোটামুটি ফুটে উঠেছে। তবে- জমিদার দপর্ণ, নীল দপর্ন, অালালের ঘরের দুলাল, বাবুরাম, বাঞ্ছারাম, ইত্যাকার উদাহরণগুলো বাহুল্য মনে হয়েছে। কেননা, গল্পটি বুঝতে এসকল বই ো চরিত্রগুলো সম্বন্ধে জানা শতর্ বলে মনে হয়েছে। তবে এটা অস্বীকার করছিনে এধরণের উদাহরণ পাঠককে বই পড়ায় অাগ্রহী করে তুলবে। বিপরীতে এ ধরণের উপমা প্রয়োগ মূল গল্পটির অাবেদন অনেকাংশেই ক্ষুণ্ন করে।
মাহফুজ
ভালো হয়েছে । প্রেম করলে এমনই হয় ।