আজ হরতাল হলেও স্বস্তি নেই। নন্দিনী ফোন করে জেনে নিয়েছে, আজ তার অফিস হবে না। লোপার স্কুলের চেয়ারম্যান সাহেব সরকারি দলের লোক, তাঁর নির্দেশ স্কুল খোলা থাকবে, ছাত্রছাত্রীদের আসতে হবে। গালিবের বিজ্ঞাপন কোম্পানির বড় সাহেব বলেছেন, মৌলবাদী দলের হরতাল, জনসমর্থন কোথায় ওদের? হরতাল হবে না, হলেও ঢিলেঢালা-জাতীয় কিছু হবে, অফিস খোলা থাকবে, চলে আসেন। গালিব, লোপা যাচ্ছে যাক। একটু পরেই ফিরে আসবে। সাতপাঁচ ভেবে আজ ওদের টিফিন দেয়নি নন্দিনী।
বড় রাস্তায় দাঁড়িয়ে অফিসের গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে গালিব হাসান কিন্তু অফিসের গাড়ি এল না। সে পাশের দোকান থেকে একটা সিগারেট কিনে ধরায়, একপাশে দাঁড়িয়ে টানতে থাকে। তখনই পেছন থেকে লোপার ডাক শুনতে পেল, বাবা? মেয়েকে দেখে খুশি হয় গালিব। কী ব্যাপার, স্কুল হলো না? না বাবা, হলো না, হায় হায়! তুমি সিগারেট খাও! না, খাই না, তবে মন ভালো থাকলে দু-একটা খাই। মন ভালো থাকলে মানে? মানে, আজ অফিস হচ্ছে না, আমি আজ স্বাধীন তাই…। ওরা যখন কথা বলছিল, তখন একটা অটোরিকশা এসে দাঁড়াল ওদের পাশে—যাবেন স্যার? চালক বলে। গালিব একবার লোপার দিকে, একবার চালকের দিকে তাকায়,
‘যাব অনেক দূর, যাবেন? ভেঙেচুরে দেবে না তো?
‘কিসের ভাঙচুর, এটা তো গাড়ি না, দেখছেন না রিকশা-সিএনজি চলছে, যাবেন কোথায়?’ চালক একবার শুদ্ধ ভাষায় কথা বলল।
‘বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাবেন? চিড়িয়াখানার পাশে।’
চালক রাজি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোপা স্কুলব্যাগ কোলের ওপর নিয়ে বসে পড়ে, বলে—বাবা, ওঠো।
লোপা আর গালিবকে ফোন করেছে নন্দিনী কিন্তু ওরা ফোন ধরেনি। কারণ, স্কুটারের শব্দে ওরা কিছুই শুনতে পায়নি। নন্দিনী ভেবেছে, নিশ্চয়ই স্কুল আর অফিস হচ্ছে, হয়তো ওরা ফোন সাইলেন্ট করে রেখেছে।
ঘণ্টা খানেক পর আবার লোপাকে ফোন করে নন্দিনী, এবার ফোন ধরে লোপা। তার কথায় বেশ উচ্ছ্বাস, সে বলে,
‘মা, আমি এখন কোথায়, জানো?’
‘না।’
‘আমি আর বাবা বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখতে এসেছি, চিড়িয়াখানা দেখা শেষ হলেই ওখানে যাব, আজ সারা দিন ঘুরব।’
মেয়ের কথা শুনে বোকা বনে যায় নন্দিনী, বলে কী মেয়েটা! বাবার সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছে চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন অথচ সে তার কিছুই জানে না! গালিব একবারও ওকে জানাল না! দ্রুত কথা শেষ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে নন্দিনী। রাজ্যের অভিমান হলো, হঠাৎ সে ভীষণ রেগে যায়। এবার তার ফোন টুং টাং শব্দে বেজে ওঠে, ছোট পর্দায় গালিবের হাসিমুখ ছবি। ধরবে না, ধরবে না করে শেষ পর্যন্ত ফোন ধরল সে,
‘বলো।’
‘অফিস হলো না, মেয়ের স্কুলও হলো না, দেখলাম রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চলছে, হঠাৎ চলে এলাম। আসার এক মিনিট আগেও আমরা দুজন জানতাম না যে এখানে আসব, একেবারেই হঠাৎ। শেষে ভাবলাম, একটু বেড়াই।’
গালিব জানে, রেগে গেছে নন্দিনী। ভীষণ ইমোশনাল সে, নিশ্চয়ই রেগে বোম হয়ে আছে। এখন তো তাকে কিছুতেই বোঝানো যাবে না, বাসায় ফিরে গিয়ে ওকে সঙ্গে নিয়ে বের হলে হয়তো আজ এখানে আসাই হতো না। ফোনে বেশি কথা বললে অথবা ওদের এখানে আসাটা যে আকস্মিক একটা কিছু, সেটা বোঝাতে গেলে আরও রেগে যাবে সে। আর ফোন করেনি গালিব।
বিকেল চারটার দিকে ফোন করে লোপা, ‘মা, তুমি কখনো বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসেছ?’ ‘না।’ মিথ্যে বলল নন্দিনী। বিয়ের আগে বহুবার সে ওখানে গিয়েছে। বিবাহিত মেয়েদের বিয়ের আগের অনেক ঘটনার সোজা উত্তর হলো, এড়িয়ে যাওয়া অথবা সোজা ‘না’ বলে দেওয়া। লোপা বলে যায়, ‘যদি আসতে মা, দেখতে কী বিশাল বিশাল গাছ, কত যে ফুল, সুন্দর সব বিচিত্র গাছগাছালিতে ভরা, প্রজাপতি, আবার অনেক পাখিও আছে।’ নন্দিনী জিজ্ঞেস করে, ‘দুপুরে কিছু খেয়েছ?’ লোপা বলে, ‘হ্যাঁ, আমি আর বাবা হোটেলে খেয়েছি। সাদা ভাত, চিংড়ি মাছ ভর্তা, শুকনো মরিচ পোড়া দিয়ে আলু, বেগুন ভর্তা, ইলিশ মাছ ভাজা, সবকিছু, হেব্বি টেস্টি, তোমাকে বলে বোঝাতে পারব না।’ নন্দিনী বলে, ‘কখনো হোটেলের পানি খাবে না, বোতলের কেনা পানি খাবে।’ ‘বাবা পানির বোতল কিনে তবেই হোটেলে ঢুকেছিল। জানো মা, গার্ডেনের ভেতর একেবারে উত্তর দিকে নিরিবিলি জায়গাতে একটা বিশাল উঁচু শিমুলগাছ…।’ ‘শিমুলগাছে কী?’ ‘ওখানে বাবা পাখি খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ হরিয়াল পাখি দেখে চিৎকার করে উঠেছে, “লোপা, শিগগির এসো, ওই দেখো হরিয়াল!” একজন মহিলা তাঁর মেয়েকে নিয়ে ছুটে এলেন, ওদের হাতে বাইনোকুলার ছিল। মহিলা বললেন, “নিন, এটা দিয়ে দেখুন।” বাবা দেখল, আমাকে দেখাল, ওরা মা-মেয়েতে দেখল, বাবা তার ছোটবেলার একটা গল্প শোনাল আমাদের।’ নন্দিনী জানতে চায়, ‘আমাদের মানে!’ ‘মানে, আমাকে আর ওদের দুজনকে, ওই মা আর মেয়েটাকে…।’ ‘পাখিগুলো কেমন?’ ‘আশ্চর্য সুন্দর পাখি, মা, বুক আর ডানা হলুদ-সবুজ রঙে মেশানো, চোখ দুটোর চারপাশে লাল বৃত্ত, সবচেয়ে সুন্দর ওদের ডানা। দামি বাইনোকুলারে তো মনে হলো পাখিগুলো আমার কাছ থেকে এক হাত দূরে, ইচ্ছে করলেই ওদের গায়ে হাত দিয়ে ছোঁয়া যাবে, অথচ ওরা অনেক অনেক উঁচুতে বসেছিল, এত সুন্দর পাখি আমি কখনো দেখিনি, ইস্ মা, তুমি না ভীষণ মিস করেছ!’
একটা বালিশ দেয়ালে রেখে ওটাতে হেলান দিয়ে খাটের ওপর বসেছিল নন্দিনী। জানালার কাচটা সরিয়ে দিতেই ফুরফুরে হাওয়া এসে লাগল তার শরীরে। একদিনে একসঙ্গে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। হঠাৎ নন্দিনীকে চেপে ধরে অতীত, সে স্মৃতি হাতড়ায়—মানুষ জীবন জীবন বলে কত কিছু বলে বেড়ায়, অথচ জীবন বলে কিছুই নেই! যা আছে বা যেটা সত্য, সেটা হলো এই দেহটা, দেহ-ই হচ্ছে জীবন, দেহকে ঘিরেই আনন্দ, বেদনা, সুখানুভূতি আর সমস্ত সংস্কার। দ্রুত সে উঠে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়ায়। ঘুরেফিরে নিজেকে দেখে নন্দিনী। ঘরে কেউ নেই, একাকী সে ইচ্ছেমতো দেখতে পারে নিজেকে, এমনকি নিরাবরণ হতেও পারে। এক, দুই, তিন এমন করেই তেত্রিশটা বছর কেটে গেছে অথচ সে এখনো তরুণী, দেখলে মনে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। উনিশ বছর বয়সে সে লোপার মা হয়েছে। মেয়েরা ঋতুবতী হওয়ার পর শত চেষ্টা করেও ধরে রাখতে পারে না নিজেদের শরীর। অন্য পুরুষকে সে আহ্বান জানায়। মানুষ বলে প্রেম, কিন্তু নন্দিনী বিশ্বাস করে না এটা, যদি প্রেম হতো তাহলে তার প্রিয় দীপু! দুটো বছর দীপুর প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে শেষ পর্যন্ত সে ডুবে গেল! হঠাৎ একদিন দীপুর একটা চিঠি পেয়ে মাকে বলেছে, মা টিউটোরিয়াল পরীক্ষা আছে ভুলে গিয়েছিলাম, এখনই যেতে হবে। এলিফ্যান্ট রোডের একটা বাড়ির দোতলার রুমে ভাড়া থাকত ও আর মামুন। গিয়ে দেখে, মামুন নেই। বাইরে থেকে নিজেই কফি আর স্যান্ডউইচ এনেছিল দীপু। চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিয়েছিল নন্দিনীর চোখ, মুখ, গাল। এর আগেও এমন করেছে বহুবার। হঠাৎ সেদিন দীপু বলে বসল—আজ আমি তোমার সবটা চাই নন্দিনী। সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে নন্দিনী বলেছিল—না, কিছুতেই না। যেমন আছ তেমন, এর বেশি এক পাও এগোবে না, যদি বাড়াবাড়ি করো এক্ষুনি চলে যাব। দীপু বলেছিল, বেশ তা-ই হোক, তুমি চলে যাও, তবে কাল সকালে উঠে পত্রিকায় আমার ছবি দেখবে, নিচে লেখা থাকবে, আত্মহত্যা। নন্দিনী পারেনি, নিজেকে সমর্পণ করেছিল। সেটা ছিল অন্য এক জগৎ, নতুন একটা অনুভূতি! এর সাত-আট দিন পর নন্দিনী ছুটে গিয়েছে দীপুর কাছে। হঠাৎ করেই নন্দিনী ভয় আর উত্তেজনার ভোগে, হয়তো এ মাসে ওটা হবে না। দোতলায় উঠে গেছে দ্রুত, বুকের ভেতর কেমন একটা ধুকপুক শব্দ। দীপু ঘরে নেই! মামুন একাকী বসে বই পড়ছিল। ক্লান্ত নন্দিনী দীপুর খাটের ওপর বসে। মামুন বলে, এই চেয়ারটাতে বসেন, ওটা এখন দীপুর বিছানা নয়। ১ তারিখ থেকে ওখানে নতুন লোক এসেছে। তাহলে, দীপু! দীপু কোথায়, মামুন? কোথায় সে? চার-পাঁচ দিন আগে সে ইতালি চলে গেছে! ফয়সাল খান দীপু ইতালি চলে গেছে! রেগে যায় নন্দিনী, আপনার মাথার ঠিক আছে মামুন, নাকি দীপুকে লুকিয়ে রেখে ঠাট্টা করছেন! আমি তো ভেবেছিলাম, আপনার অনুমতি নিয়েই সে দেশ ছেড়েছে। কোনো রকমে উঠে দাঁড়িয়ে দোতলার সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমেছিল সে। তারপর অনেক কষ্টে দশ থেকে পনেরো মিনিট হেঁটেছিল, রিকশা বা অটোরিকশা খুঁজেছিল। বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি মাথা ঘুরে পড়ে গেল রাস্তায়। ছোট্ট একটা ভিড় জমল ওকে কেন্দ্র করে। ওর চোখ-মুখে পানির ছিটা দিচ্ছে একজন যুবক। ওকে ধরে উঠে বসতে সাহায্য করে একজন মহিলা। জ্ঞান ফিরতে দেরি হয়নি। জ্ঞান ফিরে এলে বলেছে, মাথাটা কেমন করছে, সবকিছুই জট পাকিয়ে যাচ্ছে! ওই মহিলা আর সেই যুবক গাড়িতে বসিয়ে সোজা নন্দিনীদের বাড়ি পৌঁছে যায়। নন্দিনীর বাবা এহসানুল করিম সাহেব বাড়িতেই ছিলেন। ড্রয়িংরুমে বসতে দিলেন ওদের। নন্দিনী তার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে, মাথার কাছে বসে থাকে মা। নন্দিনী মাকে বলে, ‘হঠাৎ মাথাটা ঘুরে গেল, কিছুই বুঝলাম না, পড়ে গেলাম, ড্রয়িংরুমে যাও, মা, ওদের চা দাও।’ অনেক কথা জানতে চাইলে নন্দিনী হঠাৎ বলে ফেলল, ‘আসলে পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়েছে, মা।’ এ কথাটা শোনামাত্র মিসেস করিম নির্ভাবনায় ড্রয়িংরুমে গিয়ে ওদের জানায়, ওর পরীক্ষাটা খুব খারাপ হয়েছে। ওরা চলে যেতে চাইলে নন্দিনীর মা বলে, ‘খালিমুখে যাওয়াটা ঠিক হবে না, কিছু মুখে দিয়ে যান।’ খাবে না, খাবে না করে শেষ পর্যন্ত ওরা চা-মিষ্টি খেয়েছিল। মায়ের সঙ্গে গালিব হাসানের বোন অনেক কথা বলেছিল। ওরা নাকি সেদিন সন্ধ্যায় মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য ফুল আর মিষ্টি কিনতে বের হয়েছিল। সেদিন সন্ধ্যায় কোনো নোটিশ ছাড়াই গালিব আর তার বড় বোন ফুল আর মিষ্টি এনে হাজির! নন্দিনীকে গালিবের পছন্দ হয়েছে শুধুু তা-ই নয়, ওর বোন বলেছে, ‘ওদের মা হাসপাতালের শয্যায়, বাঁচবে না, হয়তো খুব জোর পাঁচ-সাত দিন আছেন, ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন।’ মৃত্যুর আগে মায়ের শেষ ইচ্ছা গালিবের বউ দেখে যাবেন। মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে নন্দিনীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল গালিবের! চারপাশে কত আনন্দ, কত উচ্ছ্বাস অথচ তখন অন্য একটা পৃথিবীতে একাকী নন্দিনী ভেবেছে অন্য কিছু, মাত্র তেরো-চৌদ্দ দিনের মধ্যে ঘটনা-দুর্ঘটনা—আবার অন্য ঘটনার আবর্তে সে ভাসছে, কেউ যেন অদৃশ্য সুতা দিয়ে তাকে পুতুলের মতো ব্যবহার করে চলেছে। বিয়ের দশ দিন পর নন্দিনী নিজেকে অবিষ্কার করল সে অন্তঃসত্ত্বা। নন্দিনীর অন্তর্জগতে তখন তোলপাড় চলছে অথচ গালিব কী আশ্চর্য সরলতায় বলে ফেলল, মেয়ে হলে নাম রাখব লোপা হাসান আর ছেলে হলে দিব্য হাসান। লোপার জন্মের সঙ্গে সঙ্গে নার্সকে বলেছে, ‘আমার মেয়েকে দেখান।’ নার্স বলেছে, ‘একটু পরে দেখুন।’ নন্দিনী বলেছে, ‘পরে নয়, এখনই, এই মুহূর্তে।’ কী দেখতে চেয়েছিল, নন্দিনী! কার মতো দেখতে হয়েছে মেয়েটা!
সন্ধ্যায় ফিরে এসে লোপার তো গল্প ফুরায় না। জানো মা, ওই যে…। বলে চলেছে লোপা… জানো মা, কত কিছু যে হলো। বসে বসে একটা একটা করে বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে মেয়েটা। নন্দিনী বলে, ওই যে মহিলা আর মেয়েটার কথা বললে না? ‘ও, ওরা দুজন তো ইতালিতে থাকে, কয়েক দিন পর চলে যাবে।’ দুজন কেন, ওর বাবা? ‘ওর তো বাবা নেই।’ বাবা নেই মানে? ‘তা তো বলতে পারব না। তুমি বাবাকে জিজ্ঞাসা করো।’ তুমি কিছু শোনোনি? লোপা এবার মাথা নত করে বলে, ‘ওর বাবা ওদের ছেড়ে গিয়ে এক মেমকে বিয়ে করেছে।’ লোপা তার ঘরে চলে যায়। নন্দিনী বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। সে রাতে ঘুমোতে পারেনি নন্দিনী। একটা পরিচিত পোকা তার মস্তিষ্কের কুঠুরিতে ঢুকে পড়ে কুরে কুরে খায় তাকে। সে কাউকে কিছু বলতে পারে না।
রং, তুলি আর ইজেলটা ভালো করে দেখে নেয় গালিব হাসান। আজ সে হরিয়ালের অনুপুঙ্খ দেখে এসেছে। রাতের মধ্যেই অসম্পূর্ণ হরিয়ালটা আঁকা শেষ করবে। কাল তার ছুটি।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০১, ২০১১
মাহফুজ
ওহ, দারুন । খুব ভালো হয়েছে ।
raduan
darun kub moja lakse