কেন রে মন-মাঝি ভব-নদীতে
মাছ ধরিতে আইলি ।
ওরে তোর মাছ ধরার ঠনঠনা,
শুধু কাদা-জল মাখাইলি।।
লোহা-খসা ঘাই ছিড়া জালে
কেমন করে ধরবি মাস আনাড়ি নাইলে
ভক্তির জোরে জাল না দিলে
টান দিলে জাল উঠে খালি।।
তাই লালন বলে, ও মন মাঝি-ভাই
মাছ ধরার কায়দা-কানুন শিক্ষা কর নাই
এবার শিক্ষা লও গা গুরুর ঠাঁই
মাছে ভরবে দেহ-ডালি।।
——————
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৪।
ভক্তিভাবের সাধনতত্ত্ব সম্পর্কিত গানটি মাছ ধরার রূপকে রচিত হয়েছে। এতে একটি স্তবক নেই। আইলি, মাখাইলি, বাইলে ইত্যাদি ক্রিয়াপদে পূর্ববঙ্গের আঞ্চলিকতার প্রভাব আছে। ভনিতা ব্যবহারেও ব্যতিক্রম আছে। লালন সাধারণত শেষ দুটি পঙক্তিতে ভনিতা রূপে নিজের নাম উল্লেখ করেন। গ্রন্থে ভনিতার ৩য় চরণে ‘গুরুর কথা’ আছে; ছন্দের খাতিরে ‘গুরুর ঠাঁই’ লেখা হয়েছে।
Subhendu Giri
Bhaba zay na, ei sab kobita uni likhe gyachhen 50 bachhar aage!!!!!!!!! Pranaam.