কিরূপ সাধনের বলে অধর ধরা যায়।
নিগূঢ় সন্ধান জেনে শুনে সাধন করতে হয়।।
শাক্ততত্ত্ব সাধন করে
পেত যদি সে চান্দে রে
অজপা গুদড়ি টানে
কুলের বাহির হয় সেই চরণ-বাঞ্ছায়।।
বৈষ্ণবের ভজন ভাল
তাই বলিয়ে ভক্তি ছিল
ব্রহ্মজ্ঞানী যারা
সদায় বলে তারা
শাক্ত-বৈষ্ণবের নাহ মুল পরিচয়।।
শুনে ব্ৰহ্মজ্ঞানীর বাক্য
দরবেশে করে তর্ক
বস্তু-জ্ঞান যার নাই
নাম-ব্রহ্মে কি পায়
লালন কয়, দরবেশে এ কি কথা কয়।।
———————
লালন ফকির কবি ও কাব্য, পূ ১৮৫; বাংলা বাউল ও বাউল গান, পৃষ্ঠা ৭৪
‘লালন-গীতিকা’য় অন্তরার ১ম চরণে ‘শাক্ততত্ত্ব’ স্থলে ‘পঞ্চতত্ব’; ৪র্থ চরণে ‘অচলা’ স্থলে ‘অবলা’ এবং সঞ্চারীর ৫ম চরণে ‘মূল’ স্থলে ‘স্বয়ং’ কথান্তর আছে।–পৃষ্ঠা ৩৫।
গানটির সুর-কাঠামো অত্যন্ত সুবিন্যস্ত ও সুসংহত; ছন্দ রীতিও স্বচ্ছন্দ ও সুষমামণ্ডিত।
Leave a Reply