আমি কোন সাধনে তারে পাই।
আমার জীবনের জীবন সাঁই।।
সাধিলে সিদ্ধির ঘরে
শুনেছি সেও পায় না তারে
সাধু যে ব্যক্তি
পেলে সে মুক্তি
ও কে যাবে অমনি শুনিরে ভাই।।
শাক্ত শৈব বৈরাগ্য ভাব
তাতে যদি হয় চরণ লাভ
তবে দয়াময়
কেন সর্বদায়
বিধি বলে দুষিনে তাই।।
গেল নারে মনের ভ্রান্ত
পেলেন না সে ভাবের অন্ত
কয় মূঢ় লালন
ভবে এসে মন
কি করিতে ওরে কি করে যাই।।
——————————
মোহাম্মদ মনসুরউদ্দীন, ‘পল্লীসঙ্গীত সংগ্রহ’, ভারতবর্ষ, ফাল্গুন ১৩৩০
গানটিতে লাউনের অসাধারণ কবি-প্রতিভার সাক্ষর আছে। সুর-কাঠামো ও ছন্দ-লালিত্য লিখুঁত ও অপূর্ব। ছোট-বড় পঙক্তিতে অন্ত্যমিলের চাতুর্যে ধ্বনি-ঝঙ্কার ও নৃত্য-স্পন্দন তোলা হয়েছে। এ ধরণের ছন্দকে আমরা ‘নেতৃ-ছন্দ’ বলেছি।
Leave a Reply