আরে কে যাবি বড়শি বাইতে নূতন পুকুরে।।
পুষ্করিণী সাড়ে তিন রতি
ঘাটলাতে জ্ঞানের বাতি
নয় শিরে নয় ধার খেলে।।
আছে দই-দুগ্ধ উদয় চন্দ্র
রামানন্দ ভক্তবৃন্দ
পারের ঘাটে একদিন যদি মেলে।।
আর ও পুষ্করিণী তিন কোণা
ভিতরে তার লাল নিশানা
চিন্তামণি মাসে মাসে খেলে।।
রসিক ডুবারু যারা
টের করে নিছে তারা
পুষ্করিণীতে মতি নিছে তুলে।।
আছের ভাবের ছিপ, প্রেমের সুতা
অনুরাগে আধার গাঁথা
যদি সেই মীনে গেলে।।
আছে ভবসিন্ধু পারের বেলা
যমেরে দেখাইয়া কলা
গুরু বলে পারের নৌকা খোলে।।
আছে একটি গাছের দুই মূল
তিন কলি চার ফুল
শোভা করে ছয় ডালে।।
গাছে যখন ছাড়বে ভক্তি-লতা
জড়িয়ে ধরবে কতই লতা
ও সাধু দরবেশ বোষ্টমে তাই বলে।।
দরবেশ লালন শা কয়, ভারে ভারে
শোন রে কিনু, বলি তোরে
ঐ ভাব ছিল যার অন্তরে।।
এবার গুরুর রূপে নয়ন দিয়ে
নিরিখ পানে থাক গে চেয়ে
মানুষ জনম যাতে ভবে পাই রে।।
——————–
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫-৩৬
গানটিতে ধুয়াসহ এগারটি স্তবক আছে। ধুয়া, অন্তরা, সঞ্চারী ও আভোগ – এই চতুরঙ্গ নিয়ে গানের যে সুর-কাঠামো, এতে তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। ধুয়ার পূরণবাচক চরণ নেই। শেষের দুইটি স্তবকের শেষ চরণে অন্ত্যমিলে বৈষম্য আছে। আমাদের ধারণা, এতে দুটি, কি তিনটি গান একত্রে মিশে গেছে।
Leave a Reply