ভাবের উদয় যেদিন হবে,
সেদিন হৃদ-কমলে রূপ ঝলক দিবে।।
শতদল সহস্রদল
এক রূপে করছে আলো
সে রূপে যে নয়ন দিল
মহাকাল সামনে তার কি করিবে।।
ভাবশূন্য হইলে হৃদয়
বেদ পড়িলে কি ফল দেয়
ভাবের ভাব থাকলে সদায়
গুপ্ত ব্যক্ত সব জানা যাবে।।
অদৃষ্ট সাধনা করা
যেমন আন্ধার ঘরে সর্প ধরা
লালন বলে, ভাবুক যারা
ভাবের বাতি জ্বেলে সে চরণ পাবে।।
——————————
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃষ্ঠা ১৯৩-৯৪
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে অন্তরা ও সঞ্চারী স্তবকের স্থান বদল হয়েছে। এ ছাড়া কথান্তর নেই বললেই চলে। পৃষ্ঠা ২৮৫।
‘লালন ও তার গানে’ অন্তরার ‘শতদল’ স্থলে ‘চতুর্দল’, সঞ্চারীর ‘ভাবের ভাব থাকলে’ স্থলে ‘ভাবের ভাবুক হলে’ এবং আভোগের ‘অদৃষ্ট সাধনা’ স্থলে ‘অদৃশ্য ভজনা’ কথান্তর আছে। পৃষ্ঠ ৮০।
‘হারামণি’ ৫ম, ৭ম, ও ৮ম খণ্ডে গানটি সংকলিত আছে। ৫ম খণ্ডে আভোগের পঙক্তি বিন্যাসে পার্থক্য সূচিত হয়েছে :
অনুমানে সেজদা করা
অন্ধকারে সর্প ধরা
লালন বলে, ভাবুক যারা
রূপের বাতি দিয়া তার চরণ পাবে।।— পৃষ্ঠা ৭২।
“অনুমানে সেজদা করা” পাঠটি প্রক্ষিপ্ত।
AMIT CHAKRABORTY
খুব ই ই ভাল লাগল এ রখম একটা সাইট পেয়ে।
ধন্যবাদ
নির্বোধ মিরাজ
অনেক ভালো লাগলো জয় গুরু ।।