না বুঝে ম'জ না পীরিতে। জেনে শুনে কর পীরিত, শেষ ভালো যাতে।। পীরিত করতে ছিল বাসনা সাধুর কাছে যান গে মনা লোহায় যেমন স্পর্শে সোনা সেই মতে।। ভাবের পীরিত ভূতের কীর্তন ক্ষণেক বিচ্ছেদ, ক্ষণেক মিলন তেমাথা পথে।। এক পীরিতের দ্বিভাব চলন কেউ স্বর্গে, কেউ নরকে গমন বিনয় করে বলছে লালন এই জগতে।।
——————–
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃষ্ঠা ১২২; লালন গীতিকা, পৃষ্ঠা ১৮১
অন্তরার “পীরিত করতে ছিল বাসনা” চরণটি উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সংগ্রহে নেই। চরণটি মনসুরউদ্দীনের ‘হারামণি’ ৫ম খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সঞ্চারীর ১ম চরণে ‘কীর্তন’ স্থলে ‘মতন’ এবং আভোগের ১ম চরণে ‘দ্বিভাব’ স্থলে ‘বিবাগে’ কথান্তর আছে। পৃষ্ঠা ৬৪-৬৫ ‘হারামণি’ ৭ম খণ্ডেও গানটি সংকলিত আছে।” অন্যত্র ড. ভট্টাচার্যের পাঠের সাথে মিল আছে। পৃষ্ঠা ৩৯১ ‘লালন ফকির : কবি ও কাব্য’ গ্রন্থে গানটির স্বরলিপি দেওয়া হয়েছে। সুরের খাতিরে এতে কিছু বাড়তি শব্দ আছে; কথান্তরও আছে। পাঠটি উদ্ধৃত করা হল :
আরে, না বুঝে ম'জ না পীরিতে। জেনে বুঝে করবি পীরিত, ভোলা মন শেষ ভাল দাঁড়ায় যাতে।। যদি পীরিত করতে হয় বাসনা তবে সাধুর কাছে জেনে লেনা যেমন লোহাতে পরশে সোনা ওরে সে মত হবে তোমাতে।। এই ভাবের পীরিত ভূতের কেত্তন একবার বিচ্ছেদ একবার মিলন আবার শেষ কালেতে হয় রে মরণ যেতে হয় তেমাথার পথে।। এক পীরিতে বিভাগ চলন আবার কেউ স্বরগে, কেউ নরকে করছে গমন শেষে তাই না ভেবে বলছে লালন, ওরে কি বলে লা জগতে।।
–পৃষ্ঠা ২৮৩-৮৪
Leave a Reply